ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
কলেজে পড়কালীন আলাপ। তার পর প্রেম এবং বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর নাকি স্বামীর কড়া নিয়মকানুন মেনে চলতে হয় তরুণীকে। চাকরি করা যাবে না। এমনকি, কোনও পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্বও রাখা যাবে না। তরুণীকে এমন সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। সমাজমাধ্যমে তা জানিয়ে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তরুণী নিজেই (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
তরুণীর নাম সৌদি। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত তরুণী দুবাইয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। সেই সময় তাঁর আলাপ হয় জামাল আল নাদাকের সঙ্গে। ২০১৯ সালে আংটিবদল হয় তাঁদের। এক বছর পর ২০২০ সালে জামালকে বিয়ে করেন সৌদি। বিয়ের পর দুবাইয়ে থাকেন সৌদি। জামাল পেশায় ব্যবসায়ী।
দুবাইয়ের পরিচিত ব্লগার সৌদি। বিয়ের পর নাকি জামাল কিছু ‘কঠিন’ শর্ত রেখেছেন। সৌদি তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় ভিডিয়ো পোস্ট করে জানান, তাঁর ধনকুবের স্বামী তাঁকে রানির মতো রেখেছেন। সিন্ড্রেলার সঙ্গে নামমিলান্তি করে নিজেকে ‘সৌদিরেলা’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ভিডিয়োটি পোস্ট করে সৌদি লেখেন, ‘‘আপনারা আমায় সৌদিরেলা নামে ডাকতে পারেন। কারণ, আমি ওর রাজকুমারী।’’
সৌদি জানান, প্রতি দিন পেশাদার রূপটানশিল্পী তাঁকে মেকআপ করিয়ে দেন। কোথাও বেরোনোর সময় সৌদির জুতোর রঙের সঙ্গে ব্যাগের রঙের মিল থাকা চাই-ই চাই। না হলে রং মিলিয়ে জুতো অথবা ব্যাগ সৌদিকে কিনে দেন জামাল। বিয়ের পর সৌদিকে চাকরি করতে দেননি জামাল। সমস্ত খরচই মিটিয়ে দেন তিনি। সৌদিকে কখনও রান্নাঘরে ঢুকতে দেননি জামাল। তবে বিয়ের পর কোনও পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা যাবে না, সেই শর্তও দিয়েছেন জামাল।
এই ভিডিয়োটি দেখে এক নেটাগরিক বলেন, ‘‘তুমি যাকে সুখে থাকা বলছ, তা আদতে সুখ নয়। অর্থ দিয়ে কিছুই কেনা যায় না। তোমার এই ধারণা একেবারেই ভুল।’’ আবার এক নেটব্যবহারকারী মজা করে বলেছেন, ‘‘তোমার হাতের রান্না খেয়ে যদি পেটখারাপ হয়ে যায়, সে ভয়েই তোমায় রান্নাঘরে ঢুকতে দেয় না।’’