অনন্ত অম্বানী এবং রাধিকা মার্চেন্ট। —ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রী রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র মুকেশ অম্বানী। দু’জনেই ছিলেন সাধারণ পোশাকে। তবে পাপারাৎজিদের নজর আটকে পড়ে অনন্তের হাতের দিকে। অনন্ত এমন একটি ঘড়ি পরেছিলেন, যার ডায়ালের দিকে তাকালে মনে হয় তা জমে বরফ হয়ে গিয়েছে। ডায়ালের ভিতর জলদস্যুদের পরিচিত প্রতীক খোদাই করা রয়েছে। বরফশীতল নীলরঙা ডায়ালের সেই ঘড়ির দামেই নাকি কিনে ফেলা যায় একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি নিয়েই চলছে বিস্তর আলোচনা।
‘দ্যইন্ডিয়ানহরোলজি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় অনন্ত এবং রাধিকার একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে (যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ছবিতে অনন্তের হাতে নীল রঙের ডায়াল দেওয়া ঘড়ি দেখা গিয়েছে।
ফ্যাশনিস্তাদের অধিকাংশের দাবি, এটি সুইস ঘড়ি, যা চুনি এবং নীলা দিয়ে তৈরি। রিচার্ড মিলে আরএম ৫২-০৪ স্যাফায়ার ব্র্যান্ডের এই ঘড়িটির মূল্য ২৬ লক্ষ ২৫ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী যার পরিমাণ ২২ কোটি ৫১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। সংস্থার তরফে এই ঘড়িটি মাত্র তিনখানা তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অনন্তের সংগ্রহে রয়েছে আরও দামি ঘড়ি। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম’। মূল ডায়াল ছাড়াও দু’টি আলাদা ডায়াল রয়েছে অনন্তের ঘড়িতে। ‘পাটেক ফিলিপ’ সংস্থার এই ঘড়িটি নাকি বিশ্বের বহুমূল্য ঘড়িগুলির দলে নাম লিখিয়েছে। সবুজ রঙে ঘেরা ডায়ালের এই ঘড়িটি কিনতে ১৮ কোটি টাকা খরচ করেছেন অনন্ত।