—প্রতীকী ছবি।
অফিসের কাজে ভিন্রাজ্যে গিয়েছিলেন যুবক। সেখানেই একটি হোটেলে উঠেছিলেন ৩০ বছরের ওই তরুণ। কাজকর্ম শেষ করে হোটেলের ঘরে প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। প্রেমিকা আসার আগে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে বেশ কয়েকটি ওষুধ খান ওই যুবক। সঙ্গে চলছিল মদ্যপানও। এই দুইয়ের মিলিত অভিঘাত প্রাণ কেড়ে নিল যুবকের। দিল্লি থেকে বান্ধবী আসার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তরুণ। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই তিনি মারা যান। হোটেলের কামরা থেকে মদের বোতল ও যৌন ক্ষমতাবর্ধক ওষুধের মোড়ক উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিকিৎসকদের সন্দেহ, অ্যালকোহল এবং ওষুধের সংমিশ্রণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দিব্যাংশু নামের নিহত ওই ব্যক্তি লখনউয়ের বাসিন্দা এবং একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। তিনি গত মঙ্গলবার কাজের সূত্রে মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে যান। থাতিপুর এলাকার একটি বিলাসবহুল হোটেলে উঠেছিলেন যুবক। সেই হোটেলেই প্রেমিকাকে ডাকেন। গভীর রাতে হোটেলে প্রেমিকা পৌঁছেই দেখেন যুবকের অবস্থা সঙ্কটজনক। প্রেমিকা হোটেলে আসার এক ঘণ্টা পরেই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকাকে আটক করেছে পুলিশ। তরুণী জানিয়েছেন, দিব্যাংশু প্রচণ্ড নেশাগ্রস্ত ছিলেন এবং তার সঙ্গে ওষুধ খেয়েছিলেন। এর ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে।