আরও এক রাষ্ট্রপ্রধানের পতন এবং দেশত্যাগ। অন্য রাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়। দামাস্কাস দখল হতেই বাশার আল আসাদ দেশ ছাড়েন। সিরিয়া ছেড়ে গন্তব্য হয় রাশিয়া। ঠিক যেমন বাংলাদেশের গণবিদ্রোহে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
সিরিয়ায় ৫০ বছর ক্ষমতায় আল আসাদ পরিবার। ২৯ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন হাফিজ় আল আসাদ। ওই একই বছর জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেন বাশার আল আসাদ। সেই থেকে টানা ২৪ বছর— আসাদই সিরিয়ার হর্তাকর্তা বিধাতা। রক সঙ্গীতের অনুরাগী। লন্ডন ফেরত ডাক্তার। ৩৪ বছরের প্রেসিডেন্ট প্রথমে সুখ্যাতি অর্জন করেন সংস্কারপন্থী নেতা হিসাবে। ওই যে কথায় আছে না, যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ! বাশার আল আসাদের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বাবার জুতোয় পা গলিয়েই সংস্কারপন্থী নেতা হয়ে ওঠেন স্বৈরাচারী শাসক। সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে শুরু করেন বাশার আল আসাদ।
সিরিয়ায় মাথাচাড়া দেয় হায়াত আল-শাম এবং জইশ আল-ইজ্জার মতো সশস্ত্র সংগঠন। শুরু হয় বিদ্রোহ। প্রথমে আলেপ্পো, হোমস, হামার মতো বড় শহর দখল, আর তারপর রাজধানী দামাস্কাস কব্জা। দেশ ছাড়া পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট। আশ্রয় দেয় ‘বন্ধু’ রাশিয়া। আসাদের এই পতন, যার নেপথ্যের কারিগর আল কায়দা কমান্ডার মোহাম্মদ আল-গোলানি। ৪২ বছরের মোহাম্মদ আল-গোলানিকে আগেই দাগি জঙ্গি হিসাবে চিহ্নিত করে আমেরিকা। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে কোটি ডলার ইনামের ঘোষণাও করা হয়।