মন এবং প্রাণে শীতল হাওয়ার স্পর্শ পেতে পাড়ি দিতে পারেন মেঘালয়ের শৈলশহর শিলংয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
কনকনে শীত হোক কিংবা প্রবল গরম— ছুটি পেলেই বাঙালির মন নেচে ওঠে বেড়াতে যাওয়ার জন্য। বাঙালি যেমন উৎসবপ্রিয়, তেমন ভ্রমণবিলাসীও। পায়ের তলায় সর্ষে, তাই সুযোগ পেলেই পাড়ি দেয় অজানা কোনও গন্তব্যে। বেশ অনেক দিনের ছুটি যদি নাও পাওয়া যায়, মন্দারমণি না পুরুলিয়া, না কি কাছেপিঠে কোনও রিসর্ট— সপ্তাহান্ত এলেই শুরু হয়ে যায় ছুটি উদ্যাপনের পরিকল্পনা। এ মাস প্রায় শেষ হতে চলল। মাস শেষের সপ্তাহান্তে কিন্তু দু’দিন নয়, ১ মে থাকায় পর পর তিন দিন ছুটি পাওয়া যাবে। এই গরমে তিন দিনের ছুটি কি বাড়িতে বসেই কাটিয়ে দেবেন? তেমন কোনও মনোবাসনা যদি না থাকে, তা হলে মন এবং প্রাণে শীতল হাওয়ার স্পর্শ পেতে পাড়ি দিতে পারেন মেঘালয়ের শৈলশহর শিলংয়ে।
সবুজ পাহাড়, মনোরম আবহাওয়া, মৃদুমন্দ বৃষ্টি— শিলং যেন রূপকথার দেশ। মেঘকে ছুঁয়ে দেখতে চাইলে যেতে হবে শিলংয়ে। ব্রহ্মপুত্র আলিঙ্গন করে রেখেছে এই মায়াবী শৈলশহরকে। শিলংয়ের পথের সৌন্দর্য খুবই মনোমুগ্ধকর। ভারতের অন্যান্য শৈলশহরগুলি থেকে বেশ কিছুটা আলাদা শিলং। পাহাড়ি পথে চড়াই-উতরাই কম। এখানেই রয়েছে বিখ্যাত ‘উমিয়াম লেক’। অন্য নাম বড়াপানি। চারপাশে ছোট ছোট সবুজ টিলায় ঘেরা মনোরম এই সরোবরে বোটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ‘শিলং পিক’। শিলং অঞ্চলের মধ্যে এই জায়গাটি পুরোটাই বায়ুসেনার অধীনে। ৬৪৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মেঘালয়ের উচ্চতম এই পয়েন্ট থেকে শিলং শহরের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হতে হয়। চারপাশে পাইন বনের সারি। কুয়াশা, চাপা অন্ধকার আর মেঘেদের সারি— শিলং ভুলিয়ে দেয় সব মনখারাপ। শিলংয়ে নৈসর্গিক দৃশ্যের অভাব নেই। যেখানেই যাবেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অপার শান্তি আর মায়া। তিন দিনের ছুটি হেলায় না হারিয়ে বরং ঘুরে আসুন শিলং থেকে।
কী ভাবে যাবেন?
ট্রেন এবং বিমান, দু’ভাবেই যাওয়া যায়। তবে হাতে যেহেতু সময় কম, তাই বিমানে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিমানে গেলে নামতে হবে গুয়াহাটি। সেখান থেকে ভাড়া করা জিপে করে পৌঁছতে হবে শিলং। এ ছাড়া ট্রেনে যেতে চাইলে হাওড়া থেকে প্রতি দিন সরাইঘাটা, কামরূপ বিভিন্ন ট্রেন আছে। যে কোনও একটিতে চাপলেই হল।
কোথায় থাকবেন?
শিলংয়ে থাকার জন্য বিভিন্ন হোটেল এবং রিসর্ট রয়েছে। অনলাইনে দেখে পছন্দমতো কোনও একটি বুক করে নিলেই হল।