তৎকালে টিকিট কাটার জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে, কোন সময় থেকে টিকিট কাটা যায়। ছবি: শাটারস্টক
ট্রেনে চেপে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে টিকিট কেটে রাখতে হয় মাস কয়েক আগে। শীতের ছুটিতে হঠাৎ ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা হলে তখন আর চেয়েও যাওয়ার উপায় থাকে না!
সামনেই বড়দিন, ইংরেজি নতুন বর্ষের ছুটি। পাহাড় যেতে ইচ্ছা করছে? কিন্তু তৎকালে টিকিট কাটা বেশ ঝক্কির। আর সেই টিকিট আদৌ নিশ্চিত হওয়ার আশাও থাকে কম। তবে কয়েকটি টোটকা মেনে টিকিট কাটলে মুশকিল আসান হতে পারে।
তৎকালে টিকিট কাটার জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে, কোন সময় থেকে টিকিট কাটা যায়। সাধারণত শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কামরার জন্য সকাল ১০টা থেকে তৎকালে টিকিট কাটা যায়। টিকিট কাটার জন্য আগে থেকে আইআরসিটিসি-র অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। আইআরসিটিসি-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়েও আপনি টিকিট কাটতে পারেন। তবে সমস্যা হল, টিকিট বিক্রি যখন থেকে শুরু হয়, তখন যাত্রীর নামধাম লিখতেই সময় চলে যায়। এর পর যখন টিকিট কাটা হয়, তখন ওয়েটিং লিস্টে চলে যায় নাম। তবে এ ক্ষেত্রে একটি সহজ টোটকা মানলে এমনটা আর হবে না।
১) আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটে তথ্য সেভ করে রাখা যায়। এই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন আপনিও। এক বার লগ ইন করলে আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটে নিজের এবং সহযাত্রীদের তথ্য নথিভুক্ত করে রাখতে পারেন। ফলে টিকিট কাটার সময়ে আপনাকে আবার সেই তথ্য দিতে হবে না। সময় বাঁচবে। সে ক্ষেত্রে সিস্টেম নিজে থেকেই আপনার তথ্য ওই প্যাসেঞ্জার ডিটেলসে পূরণ করে দেবে। এর পর শুধু টাকা জমা করে দিলেই হবে কাজ।
২) এ ছাড়া টাকা জমা করার সময়ে নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহার করুন। কার্ডে টাকা জমা করলে অনেকটা সময় ব্যয় হয়। প্রথমে কার্ডের যাবতীয় তথ্য ভরতে হয়, তার পর ওটিপি আসার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো পরিচয়পত্রগুলি একেবারে হাতের কাছে রাখুন। খোঁজার জন্য সময় ব্যয় করবেন না।
৩) এসি-র জন্য প্রথমে ২এ (সেকেন্ড এসি)-তে টিকিট কাটার চেষ্টা করুন। বেশির ভাগ ট্রেনের ক্ষেত্রেই বার্থ সংখ্যা কম হলেও ২এ-তে বুকিং ৩এ-র তুলনায় পরে হয়।