Chandra ketu Garh

নতুন বছরের সপ্তাহান্তে ঘুরতে যাবেন? ইতিহাস ছুঁয়ে দেখে আসতে পারেন চন্দ্রকেতুগড় থেকে

টানা ছুটি শেষ হয়ে গেলেও সাপ্তাহিক ছুটি তো রয়েছে। ইতিহাসের স্বাদ পেতে শীতের রোদ সঙ্গে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন চন্দ্রকেতুগড় থেকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:২৪
বাঙালির প্রাচীন ইতিহাসের হদিশ পেতে চন্দ্রকেতুগড় ভ্রমণ এই শীতে জমে যাবে।

বাঙালির প্রাচীন ইতিহাসের হদিশ পেতে চন্দ্রকেতুগড় ভ্রমণ এই শীতে জমে যাবে। ছবি: সংগৃহীত

নলেন গুড়ের পিঠে কিংবা রাঙা আলু— শীতকাল মানেই নতুন কিছু। তবে নতুনত্বের স্বাদ শুধু খাবারেই কেন সীমাবদ্ধ থাকবে? শীত পড়তেই ভ্রমণের নেশা চেপে বসে বাঙালির মনে। হাতে এক দিন ছুটি নিয়েই বেরিয়ে পড়েন এ দিক-সে দিক। নতুনত্বের স্বাদ পেতে শীতের রোদ সঙ্গী করে ঘুরে আসতে পারেন কলকাতার থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরের চন্দ্রকেতুগড় থেকে।

ইতিহাস যাঁদের প্রিয় বিষয়, এই জায়গা নিঃসন্দেহে মনে ধরবে। সবুজ গাছপালা, উঁচু সবুজ ঘাসের ঢিপির মাঝেই জেগে আছে প্রাচীন কালের এই স্থাপত্যের ভগ্নাবশেষ। শহুরে কোলাহল ছেড়ে ইতিহাসের বুকে শান্ত, নিরিবিলি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কিছু ক্ষণ কাটিয়ে আসতেই পারেন। বাঙালির প্রাচীন ইতিহাসের হদিস পেতে চন্দ্রকেতুগড় ভ্রমণ এই শীতে জমে যাবে।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগণার বেড়াচাঁপার কাছেই এই প্রাচীন জনপদ অবস্থিত। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে নগরীর সম্পর্ক ছিল। এই গড় থেকে পাওয়া গিয়েছে বণিক, নাবিকদের হাতে ক্ষয়ে যাওয়া রৌপ্যমুদ্রা। এগুলি দেখে ইতিবাসদিদের ধারণা, এটি একটি বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। এখান থেকে পাওয়া সিলমোহরে মিলেছে পালতোলা নৌকা, ঘোড়ার প্রতিকৃতি। অনেকের মতে, ঘোড়া রফতানি হত এই চন্দ্রকেতুগড় থেকেই। এই জায়গার বাতাসে মিশে আছে ইতিহাসের গন্ধ। চন্দ্রকেতুগড়ের খুব কাছ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী।

ইতিহাস যাঁদের প্রিয় বিষয়, এই জায়গা নিঃসন্দেহে মনে ধরবে।

ইতিহাস যাঁদের প্রিয় বিষয়, এই জায়গা নিঃসন্দেহে মনে ধরবে। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার কাছাকাছি এমন শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ আছে, এখানে না এলে তা বিশ্বাস হবে না। গাছের ছায়া ঘেরা অন্ধকারে যেন ঘুমিয়ে আছে বহু যুগের ইতিহাস। দুর্গের খানিক ভগ্নাবশেষ এখানে রয়েছে। সেই ভাঙাচোরা ইতিহাসে সাক্ষী থাকতে আসতেই পারেন এখানে। পায়ের নীচে প্রায় আড়াই হাজার বছরের ইতিহাস শুয়ে আছে নিশ্চুপে।

এখানে এলে চন্দ্রকেতুগড়ের সংগ্রহশালাটি দেখে আসতে ভুলবেন না। চন্দ্রকেতুর দুর্গে খননকার্য চালিয়ে কিছু পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি ওই সংগ্রহশালাতে রয়েছে। সকালে এসে ঘুরে আবার সন্ধ্যায় ফিরে যেতে পারেন। কাছাকাছি তেমন কোনও হোটেল বা রিসর্টও নেই।

কী ভাবে যাবেন?

শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে হাসনাবাদগামী কোনও লোকাল ট্রেনে চেপে হাড়োয়া স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে অটো করে সোজা চন্দ্রকেতুগড়। অন্য দিকে, ধর্মতলা থেকে বারাসতগামী কোনও বাসে উঠে বেঁড়াচাপার মোড়ে নেমে অটো কিংবা টোটো ধরে নিতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement