এ বারের ছুটিতে কার্শিয়াং ঘুরে আসুন। ছবি: জ্যোতির্ময় তরফদার।
বাঙালিরা যেমন যখন-তখন দার্জিলিং বেড়াতে যায়, ততটা আর কোনও পাহাড়ি জায়গায় যায় না। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রিয় জায়গার মধ্যে পড়ে আর দুই শৈলশহর। কালিম্পং ও কার্শিয়াং। কার্শিয়াং শহরটি কম চর্চায় থাকে বটে। তবে তার সৌন্দর্য কম নয়। এ বারের ছুটিতে দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরের এই পাহাড়ি শহর থেকে দিব্যি ঘুরে আসা যায়।
বিশেষ পাঁচটি জায়গায় বেশি সময় কাটাতে পারেন কার্শিয়াং বেড়াতে গিয়ে। দেখে নিন ছবি, জেনে নিন তার খুঁটিনাটি।
১) ডওহিল
ভূতের ভয় থেকে প্রেম জমার আশ্বাস, সবের সন্ধান আছে ডও হিলে। সবুজে ঘেরা এই রাস্তা যেমন শান্ত সময় কাটানোর জন্য ভাল, তেমনই আবার হাল্কা গা ছমছম অনুভূতি জোগায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন ভাল রাখে। অল্প শীতল আমেজ ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলে সময়টাকে। পাহাড়ি শহরের প্রেমের গল্পে যেমন আবহের কথা বলা হয়ে থাকে, এখানটা খানিক তেমনই।
২) ইগল্স ক্র্যাগ
গোটা কার্শিয়াং শহর দেখা যায় এই ভিউ পয়েন্ট থেকে। চার দিকে সবুজ পাহাড়। ছোট ছোট পাহাড়ি বাড়ি। আর সবের উপরে ভ্রমণসঙ্গীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আপনি। ইগলের চোখ যত দূর পর্যন্ত দেখতে পারে, এখান থেকে ঠিক তত দূর দেখা যায়।
৩) সিটং
কমলালেবুর গ্রাম। দার্জিলিং থেকেও খুবই কাছে। কর্শিয়াং থেকে যেতে সময় লাগে ঘণ্টা খানেক। আর এটুকু সময়তেই বদলে যেতে পারে বেড়ানোর মেজাজটা। কার্শিয়াঙে যেমন শহুরে আমেজ। এ জায়গা একেবারেই প্রকৃতির কোলে। চাইলে কোনও এক পাহাড়ি দাদা-বৌদির বাড়িতে থাকার ব্যবস্থাও করে নিতে পারেন। সেখানে হোম স্টে আছে বেশ কয়েকটি।
৪) মকাইবাড়ি চা বাগান
চা বাগানে বসে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। কার্শিয়াঙের মকাইবাড়ি চা বাগান অঞ্চলে রয়েছে থাকার জায়গাও। তবে শহরের কোনও হোটেলে থেকেও ঘুরে আসতে পারেন চা বাগানে। আবার আছে হোম স্টে। চা বাগানের কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে একটা দিন কাটালে যোগাযোগ হবে একেবারে অচেনা এক জীবনযাত্রার সঙ্গে।
৫) নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সংগ্রহশালা
কার্শিয়াঙের এই বাড়িটিতে অনেক দিন সুভাষচন্দ্র বসু থেকেছেন। এখন সেখানেই তৈরি হয়েছে সংগ্রহশালা। ব্রিটিশ আমলের সেই বাড়িতে সে সময়কার অনেক জিনিসপত্র রাখা আছে। আছে সাজানো বাগান। শহর থেকে গাড়িতে মাত্র মিনিট ১৫। এক ঝলক ইতিহাস সেখানেই অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।