রোজই কুয়াশায় লেট বহু ট্রেন। — ফাইল চিত্র।
রোজই কুয়াশায় ট্রেন লেট হচ্ছে। প্রতি শীতের মতো এ বারেও একই পরিস্থিতি। অনেক যাত্রীই ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। দূরপাল্লার কোনও ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি করলে ফিরতি যাত্রাও শুরু হচ্ছে দেরিতে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনও যাত্রী চাইলে পুরো ভাড়াই ফিরিয়ে দেয় রেল। শুধু নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। আবার রাজধানী, দুরন্তের মতো ট্রেন লেট করলে যাত্রীদের বাড়তি খাবার দেওয়ারও নিয়ম রয়েছে। এ জন্য অবশ্য আবেদন করতে হয় না।
রেলের নিয়ম অনুযায়ী দূরপাল্লার কোনও ট্রেন যদি তিন ঘণ্টা বা তার বেশি লেট করে, তবে যাত্রীরা পুরো ভাড়া ফেরত চাইতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যে স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার কথা, সেখানে ‘লেট’ ঘোষণা হলেই যাত্রীরা টিকিট বাতিল করে পুরো টাকা ফেরত নিতে পারেন। অনলাইনে যাঁরা টিকিট কেটেছেন তাঁদের টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। আর যাঁরা কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছেন তাঁদের কাউন্টারেই যেতে হবে। তবে ট্রেন সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে ছাড়ার আগেই টিকিট বাতিল করতে হবে।
যদি ট্রেন ছেড়ে যায় তবেও পুরো ভাড়া ফেরত পাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে তিন ঘণ্টা লেটে চলা ট্রেনে যদি ২০০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্বের টিকিট কাটা থাকে। এ ক্ষেত্রে ট্রেন চলে যাওয়ার পরে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সময় পাওয়া যায়। আবার ২০০ কিলোমিটারের বেশি থেকে ৫০০ কিলোমিটার সফরের টিকিট হয় তবে সময় পাওয়া যায় ছ’ঘণ্টা। আর ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পথের টিকিট হলে সেই সময়টাই ১২ ঘণ্টা। সাধারণ ভাবে তৎকাল টিকিট বাতিল করা যায় না। কিন্তু ট্রেন লেট করলে বাতিল এবং পুরো ভাড়া ফেরত পাওয়ার নিয়ম রয়েছে। আবার ট্রেনের যাত্রা পথ যদি রেল বদলে দেয় এবং সেই পথে কোনও যাত্রীর ট্রেনে ওঠার স্টেশন না পড়ে সে ক্ষেত্রেও পুরো ভাড়াই ফেরত পাওয়ার নিয়ম।
রাজধানী, দুরন্ত, বন্দে ভারতের মতো ট্রেনে যাত্রীদের খাবার দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু কোনও ট্রেন যদি লেট করে তবে যাত্রীদের বাড়তি খাবারও দেয় রেল। ট্রেন লেটের কারণে কোন সময়ে অতিরিক্ত খাবার দেওয়ার প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী প্রাতরাশ, দুপুরের খাবার, বিকেলের চা-স্ন্যাক্স কিংবা রাতের খাবার দেওয়াই নিয়ম। ট্রেন লেট করায় মধ্যরাতে গন্তব্যে পৌঁছলে যাত্রীর টিকিট অনুযায়ী রেলের ওয়েটিং রুমে থাকার ব্যবস্থাও করার নিয়ম রয়েছে।