হোটেলের ঘরে ঘুম আসে না কিছুতেই? কী করলে ঘুম আসবে? ছবি: সংগৃহীত।
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের নরম বিছানা পেয়ে অনেকেই যেমন ঘুমে ডুবে যান, তেমন কিন্তু উল্টোটাও হয়। কেউ কেউ আছেন, যাঁদের নিজের ঘর ছাড়া কিছুতেই ঘুম আসে না। আসলে নিজের ঘরের চেয়ে অন্য রকম পরিবেশে কারও কারও এই সমস্যা হয়।
এ দিকে, বেড়াতে গিয়ে বা কাজে গিয়ে দিনের পর দিন ঘুম না এলে কিন্তু মুশকিল! কারণ, সারা দিনের ঘোরাঘুরি, ধকলের পর শরীরেও বিশ্রাম প্রয়োজন। ভাল ভাবে ঘুম না হলে শরীরেরও সম্পূর্ণ বিশ্রাম হয় না। তা ছাড়া, হোটেলের ঘর রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেগে শুয়ে এ পাশ-ও পাশ করতে কারই বা ভাল লাগে? তা হলে উপায়?
ঘর অন্ধকার করে রাখুন
ঘরের বদল, বিছানার বদল, অভ্যাসের কোলবালিশ না পেয়ে অনেকেরই হোটেলের ঘরে কিছুতেই ঘুম আসে না। সারা রাত না ঘুমিয়ে জেগে থাকা যে কী বিরক্তিকর, সেটা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন। ঘুমের সময় ঘর যতটা সম্ভব অন্ধকার করে দিন। অনেক সময় ঘরে মৃদু আলো থাকে না। সে ক্ষেত্রে ‘স্লিপ মাস্ক’ পরে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে মোবাইলে কোনও গান আস্তে করে চালিয়ে দিন।
গরম জলে স্নান করে নিন
সারা দিনের পর হালকা গরম জলে স্নান করলে আরাম হয়। এতে ঘুমও ভাল হয়। এই পদ্ধতিও অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
হালকা খাবার খান
রাতের দিকে তেল-মশলাদার খাবার বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। শরীরে অস্বস্তি হলে ঘুম আসবে না সেটাই স্বাভাবিক। তাই রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা রাখুন। রাতের দিকে চা, কফি বা ধূমপানে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
ঘরের তাপমাত্রা
ঘুম আসার জন্য ঘরের আবহাওয়া আরামদায়ক হওয়া দরকার। এসিতে ঘর প্রচণ্ড ঠান্ডা হয়ে গেলে বা ঘর গরম মনে হলে ঘুমে সমস্যা হতে পারে। তাই শরীরের পক্ষে আরামদায়ক তাপমাত্রা যাতে থাকে, সে ব্যবস্থা করুন।
কম্বল
অনেকেরই নিজের কম্বল জড়িয়ে শোয়ার অভ্যাস থাকে। সেটা যদি একদম পাতলা হয় তা হলে ব্যাগে ভরে নিয়ে চলে আসুন। নিজের ব্যবহারের জিনিস গায়ে জড়ালে ঘুমে সুবিধা হতে পারে।
মদ্যপান
বেড়াতে গিয়ে অনেকেই মদ্যপান করেন। একটু-আধটু মদ্যপানে কিন্তু ঘুম ভাল হয়। তবে অতিরিক্ত মদ্যপানে শরীর খারাপ লাগতে পারে। হজমে সমস্যা হলে, মাথা ধরে থাকলে ঘুম আসতেও সমস্যা হবে।