বিমানে ঘুম আসে না? কী করলে সমস্যার সমাধান হবে? ছবি: সংগৃহীত।
বিমানযাত্রার শুরু ও শেষটায় আকাশের সৌন্দর্য দেখে খানিকটা সময় কাটলেও, দীর্ঘ যাত্রাপথ বড্ড একঘেয়ে মনে হয়। লম্বা যাত্রাপথে একটু ঘুমিয়ে পড়তে পারলে সময় যেমন ঝট করে কেটে যায়, তেমনই শরীরও ঝরঝরে হয়ে ওঠে। কিন্তু, ঘুম এলে তো!
অনেক সময় এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে গেলে, সময়ের তারতম্যের জন্য ঘুম আসতে চায় না। কারও আবার শব্দ, আলোয় দু’চোখের পাতা এক হয় না।
যাত্রীদের ঘুমের সমস্যার সমাধানে নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বেশ কিছু জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন এক ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট। ছ’ বছর একটি বিমান সংস্থায় কাজ করেছেন তিনি।
তাঁর পরামর্শ, মাঝ-আকাশে, মাঝরাতে চোখে ঘুম আনতে প্রথমেই আরাম করে বসুন। তার পর কয়েকটি ছোটখাটো জিনিসের সাহায্য নিলেই দু’চোখের পাতা ভারী হয়ে আসবে।
সেই জিনিসগুলি কী?
‘আই মাস্ক’ বা এবং ‘নয়েজ় ক্যানসেলিং হেডফোনস’, ‘ইয়ার প্লাগ’ এবং ‘ল্যাভেন্ডার অয়েল’। পাশাপাশি প্রয়োজন আরামদায়ক, আলগা পোশাক। ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট বলছেন, ‘‘আরাম করে বসে, চোখে মাস্ক, কানে ‘ইয়ার ফোন’ লাগিয়ে নিলেই, আলো ও শব্দ থেকে মুক্তি।’’ ল্যাভেন্ডার অয়েল এসেনশিয়াল অয়েল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। মন শান্ত করতে গন্ধটি সাহায্য করে। চাইলে যাত্রীরা এটিও ব্যবহার করতে পারেন।
ঘুমের দেশে যাওয়ার জন্য বিমানকর্মীর দ্বিতীয় পরামর্শ, তাপমাত্রা শরীরের পক্ষে আরামদায়ক করে নেওয়ার। ঠান্ডা লাগলে, যাত্রী কম্বল চাইতে পারেন, আবার শীতলতার মাত্রা কমিয়ে দিতে বলতে পারেন। তাপমাত্রা আরামদায়ক হলে ঘুমও সহজে আসবে।
ঘুম আনতে সাহায্য করে মেলোটোনিন নামে একটি হরমোন। অনিদ্রা, জেট ল্যাগ কাটাতে ইদানীং অনেকে মেলাটোনিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন। তা কি খাওয়া যেতে পারে?
আমেরিকার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ঘুম বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘‘বেশির ভাগ মানুষের শরীরেই ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ হয় প্রাকৃতিক ভাবেই। তবে ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যা থাকলে প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের জন্য মেলাটোনিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।’’
পাশাপাশি, শিশুদের ঘুমের জন্য ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টের পরামর্শ, তাদের হাতে যেন অভিভাবকেরা মোবাইল, ট্যাব বা বৈদ্যুতিন খেলনাপাতি ধরিয়ে না দেন। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।