Elephnat Safari in Jungle

৩ গন্তব্য: খোলা জিপে নয়, হাতির পিঠে করে জঙ্গল চষে বেড়াতে চাইলে যেতে পারেন

জঙ্গল ঘুরতে গেলেও গজভ্রমণের সুযোগ হয়নি আগে। কোন কোন জঙ্গলে গেলে হাতির পিঠে চড়ার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে, জেনে নিন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ২০:৫৯
Image of Elephant Safari.

ছবি: সংগৃহীত।

এর আগে বেশ কয়েকটি জঙ্গলে ঘুরতে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে হাতি সাফারি করার সুযোগ মেলেনি। যতই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে নানা দিকে কমিটি গড়ে তোলা হোক না কেন, হাতির পিঠে সাফারি নিয়ম করে বন্ধ করা যায়নি। ১২ অগস্ট, বিশ্ব হস্তী দিবস উপলক্ষে সে কথা আরও এক বার মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি। তাইল্যান্ডের রানির উদ্যোগে, প্যাট্রিশিয়া সিম্‌স এবং মাইকেল ক্লার্ক ২০১২ সাল থেকে ১২ অগাস্ট দিনটি বিশ্ব হস্তী দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন জঙ্গলে বিচরণ করা হাতিদের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলাই ছিল উদ্দেশ্য। তবে চিড়িয়াখানার ঘেরাটোপের মধ্যে হাতি দেখা আর পোষা হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা এক নয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে হাতি সাফারি হয়। কোন কোন জঙ্গলে গেলে হাতির পিঠে চড়তে পারবেন, তা জেনে নিন।

Advertisement

১) কাজিরাঙা

আসামে যাবেন আর কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ঘুরবেন না, তা হয় না। চাইলে অবশ্য নামেরিতেও যাওয়া যায়। বিশেষ করে যদি হাতি সাফারি করার ইচ্ছে থাকে, তা হলে তা পূরণ হয়ে যেতে পারে এখানেই। ট্রেন বা বিমানে গুয়াহাটি পৌঁছে, সেখান থেকে বাসে বা গাড়িতে কাজিরাঙা পৌঁছনো যায়। সময় লাগবে ঘণ্টা চারেক। এখানে হাতি এবং জিপ সাফারির রাস্তা আলাদা। তাই দুটোর অভিজ্ঞতা অবশ্যই দু’রকম। হাতি সাফারি হয় মূলত ভোরবেলা। খুব সামনে থেকে গন্ডার, বুনো শুয়োর, বিভিন্ন পাখি, বাফেলো, হরিণ দেখতে চাইলে হাতি সাফারির কোনও বিকল্প নেই। ইন্টারনেটে কাজিরাঙা অনলাইন সাফারি লিখলেই বুকিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।

২) জলদাপাড়া

জলদাপাড়া ভ্রমণ নিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কারণই হল হাতি সাফারি। জিপের পাশপাশি এখানে দিনে দু’বার হাতি সাফারিরও ব্যবস্থা থাকে। পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করতে হয় এই সব সাফারিগুলি। হরিণ, বুনো হাতি, বাফেলো, বুনো শুয়োরের পাশাপাশি কপাল ভাল থাকলে চিতাবাঘেরও দেখা মিলতে পারে। কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ মাল জংশন, সেখান থেকে টোটো বা গাড়িতে জলদাপাড়া ঘণ্টাখানেকের পথ। তবে জলদাপাড়া বা হলং বাংলোতে থাকা পর্যটকেরা এ ক্ষেত্রে আগে বুকিংয়ের সুযোগ পেয়ে থাকেন।

৩) গরুমারা

জলদাপাড়া থেকে হাতি সাফারির সুযোগ না মিললে গরুমারা থেকেও বুকিং করা সম্ভব। তাই মূর্তি বা লাটাগুড়িতে থাকলে, সেখানকার পর্যটকেরা হাতি সাফারি করার সুযোগ পাবেন। ধূপঝোরা সাফারি পয়েন্ট থেকে হাতির পিঠে উঠতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বুক করতে হয় এই সব সাফারি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement