উইম্বলডন চলাকালীন পানীয়ে চুমুক দর্শকদের। ছবি: টুইটার
এক দিকে ঘাসের কোর্টে র্যাকেটের লড়াই। অন্য দিকে শ্যাম্পেনের গ্লাস হাতে গ্যালারিতে বসে সেই লড়াইয়ের আনন্দ নেওয়া দর্শক। উইম্বলডনের খুব পরিচিত ছবি এটা। প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতা চলাকালীন হাজার হাজার শ্যাম্পেনের বোতল খোলেন দর্শকেরা। কিন্তু এ বার সেই কাজেই দর্শকদের বাধা দিলেন এক চেয়ার আম্পায়ার। খেলা চলাকালীন সার্ভিসের সময় দর্শকদের শ্যাম্পেনের বোতল খুলতে নিষেধ করলেন তিনি।
মহিলাদের সিঙ্গলসে তৃতীয় রাউন্ডের খেলা চলছিল আনাস্তাসিয়া পটাপোভা ও মিরা আন্দ্রিভার। পটাপোভার সার্ভিসের ঠিক আগেই এক দর্শক একটি শ্যাম্পেনের বোতল খোলেন। তাতে জোরে শব্দ হয়। ঠিক তার পরেই অস্ট্রেলিয়ার চেয়ার আম্পায়ার জন ব্লম বলেন, ‘‘দর্শকদের অনুরোধ, খেলা চলাকালীন যদি শ্যাম্পেনের বোতল খুলতে হয় তা হলে সার্ভিসের ঠিক আগে সেটা করবেন না।’’
শ্যাম্পেন খোলার শব্দে ক্ষণিকের জন্য চমকে যান পটাপোভা। চেয়ার আম্পায়ারের অনুরোধের পরে তাঁর দিকে তাকিয়ে সম্মতি জানান পটাপোভা। তিনি বোঝাতে চান, সত্যিই সার্ভিস করতে সমস্যা হচ্ছে। চেয়ার আম্পায়ারের অনুরোধের পরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় দর্শকদের মধ্যে। কেউ হাততালি দিয়ে সেই অনুরোধে সম্মতি জানান। আবার কেউ বিদ্রুপ করেন।
পরে অবশ্য আর সেই ম্যাচে আর কেউ দর্শকাসনে বসে শ্যাম্পেনের বোতল খোলেননি। স্ট্রেট সেটে ম্যাচ জেতেন ১৬ বছরের আন্দ্রিভা। পটাপোভাকে ৬-২, ৭-৫ হারিয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছে যান তিনি।
উইম্বলডনে দর্শকাসনে বসে শ্যাম্পেন বা অন্য কোনও পানীয় খেতে বাধা নেই। কিন্তু সেই সব বোতলের ছিপি খুলে তার পরে তা দর্শকাসনে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু তার পরেও কেউ কেউ দর্শকাসনে বসেই বোতলের ছিপি খোলেন। এর আগে ২০১৯ সালের উইম্বলডনেও এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। বেনোইত পাইরে ও জিরি ভেসেলির মধ্যে খেলা চলাকালীন এক দর্শক শ্যাম্পেনের বোতল খোলেন। ছিপি সোজা কোর্টে গিয়ে পড়ে। ফলে খেলা কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল।