India Cricket

ক্রিকেট বিশ্বের লাভের সিংহভাগ পাবে ভারত, পাকিস্তানের আপত্তি উড়িয়ে ১৯০০ কোটি বিসিসিআইকে

আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে আইসিসির বৈঠক। সেখানেই ঘোষণা করা হবে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার লাভের ৩৮.৫ শতাংশ পাবে বিসিসিআই। পাকিস্তান আপত্তি করলেও তা মানেনি আইসিসি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩ ১০:৪১
Indian cricketers

ভারতীয় দলের কয়েক জন ক্রিকেটার। —ফাইল চিত্র

আপত্তি করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই আপত্তি না মেনে লাভের সিংহভাগ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে দিতে চলেছে আইসিসি। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির বৈঠক রয়েছে। সেখানেই এই বিষয়ে সিলমোহর পড়ার কথা। বৈঠকে যোগ দিতে ডারবানে যাচ্ছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান জাকা আশরফেরও থাকার কথা সেই বৈঠকে।

এই বৈঠকের প্রধান আলোচনার বিষয় আইসিসির লভ্যাংশ সব সদস্য দেশের মধ্যে কী ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার লাভের ৩৮.৫ শতাংশ পাওয়ার কথা বিসিসিআইয়ের। আইসিসির লাভের পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ৬০০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বিসিসিআই প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা পাবে। এই বিষয়েই আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তা মানতে চাইছে না আইসিসি।

Advertisement

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘আইসিসির ফিনান্সিয়াল অ্যান্ড কমার্সিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। বৈঠকে সেটা ঘোষণা করা হবে। ভারত ৩৮.৫ শতাংশ পাবে। সেখানে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ৬.৮৯ ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড ৬.২৫ শতাংশ পাবে। দেখে হয়তো মনে হচ্ছে একটা বোর্ডকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা নয়। কারণ, এই লভ্যাংশ ভাগ করে দেওয়ার নেপথ্যে অনেক বিষয় রয়েছে।’’

ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ড কত টাকা পাবে তা নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের উপর। ১) ক্রমতালিকায় সেই দেশের অবস্থান। ২) আইসিসি প্রতিযোগিতায় সেই দেশের ফলাফল। ৩) সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন থেকে সেই দেশ কত টাকা আয় করছে। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা অন্য সব দেশের থেকে বেশি। ভারত থেকে সব থেকে বেশি রোজগার হয় আইসিসির। তাই লভ্যাংশের সিংহভাগ যে বিসিসিআই পাবে তাতে অন্যায়ের কিছু নেই। অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডও এ বার আগের থেকে বেশি টাকা পাচ্ছে।’’

আইসিসির বৈঠকে আরও যে বিষয়ে আলোচনা করার কথা তার মধ্যে অন্যতম আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ও আমেরিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। এ ছাড়া ২০২৮ থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ের সূচি নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগের কথাও উঠতে পারে ডারবানের বৈঠকে।

আরও পড়ুন
Advertisement