(বাঁ দিকে) সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সানা গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে সানা। শুক্রবার তাঁর গাড়িতে একটি বাস ধাক্কা মারে। ভেঙে যায় গাড়ির ‘লুকিং গ্লাস’। গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অল্পের জন্য বড়সড় বিপদের হাত থেকে বাঁচেন সানা এবং তাঁর গাড়ির চালক। পুলিশ ঘাতক বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা চৌরাস্তার কাছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চৌরাস্তা এলাকায় দু’টি বাস রেষারেষি করছিল। সে সময় আচমকাই একটি বাস গিয়ে ধাক্কা মারে সানার গাড়িতে। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির বাঁ দিকের আসনে বসে ছিলেন সানা। রায়চক রুটের বাসটির ধাক্কা মারে গাড়ির ডান দিকে। ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু চালকের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। দুর্ঘটনায় সানার গাড়ির ‘লুকিং গ্লাস’ ভেঙে গিয়েছে। সৌরভের পরিবারের পক্ষ থেকে ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘাতক বাসের চালকের খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। পরে অভিযুক্ত বাসচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০২৩ সালের অগস্টে বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার। সৌরনীল সরকার নামে ওই ছাত্রকে পিষে দেয় লরি। লরির ধাক্কায় আহত হন তার বাবাও। তবে তাতেও কমানো যায়নি বাস রেষারেষির ঘটনা। গত বছর নভেম্বরে সল্টলেকে দুই বাসের রেষারেষিতে আয়ুষ পাইক নামে এক চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। গত বছর অক্টোবরে মহালয়ার দিন সকালে বাঁশদ্রোণীতে এক ছাত্রকে জেসিবি ধাক্কা দেয় বলেও অভিযোগ। বাসের রেষারেষি রুখতে কড়া পদক্ষেপও করে সরকার। বিভিন্ন বাস মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কয়েক দফা নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কিন্তু তার পরও বাসচালকদের হুঁশ ফেরেনি, তা শুক্রবারের ঘটনা আরও এক বার প্রমাণ করল।