মিশরের কাইরো থেকে পোল্যান্ডের একটি সংস্থার বিমান ধরে কর্সিকাতে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল ওই খেলোয়াড়ের। — ফাইল চিত্র
টেনিস খেলতে গিয়ে অমানবিকতার শিকার হলেন রাশিয়ার এক খেলোয়াড়। তাঁকে দু’টি সংস্থা বিমানে উঠতেই দিল না। বাধ্য হয়ে রাত কাটাতে হল বিমানবন্দরের বেঞ্চে। এমনকি তাঁর সঙ্গে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই খেলোয়াড়। গোটা ঘটনার বর্ণনা লিখেছেন টুইটারে।
ভিটালিয়া দিয়াতচেঙ্কো নামে রাশিয়ার ওই খেলোয়াড়ের দাবি, মিশরের কাইরো থেকে পোল্যান্ডের একটি সংস্থার বিমান ধরে কর্সিকাতে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়ার পাসপোর্ট থাকার কারণে তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। এমনকি, ডব্লিউটিএ, আইটিএফের চিঠি থাকা সত্ত্বেও তা পাত্তা দেওয়া হয়নি।
পাশাপাশি ভিটালিয়ার দাবি, তাঁর বাবা আদতে ইউক্রেনের এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের হয়ে কাজ করেছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বিমানে উঠতে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মানা হয়নি। পোল্যান্ডের লোট এয়ারলাইন্স ছাড়াও ভিটালিয়াকে টিকিট দেয়নি জার্মানির লুফৎহানসা। ফলে ১৮ ঘণ্টা বিমানবন্দরে কাটিয়েছেন ভিটালিয়া। বেঞ্চে শুতে হয়েছে। কোনও খাবার ছিল না। বিমানবন্দর থেকে বেরনোর অনুমতিও ছিল না।
Vitalia Diatchenko on Russian passport: “As an athlete who’s playing without any flag, not representing a country, just trying to get on with life & follow a career I loved all my life, is this fair to athletes who have no association with any part of the unfortunate situation” pic.twitter.com/5byidlzKlx
— The Tennis Letter (@TheTennisLetter) April 24, 2023
ভিটালিয়ার প্রশ্ন, একজন টেনিস খেলোয়াড় যে নিজের পতাকা এবং দেশ ছাড়াই নিরপেক্ষ ভাবে আন্তর্জাতিক টেনিস খেলছে তাঁকে এ ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন? এ বিষয়ে কোনও পক্ষেরই উত্তর মেলেনি। তবে বাকি খেলাগুলির থেকে টেনিস ব্যতিক্রম। এখানে রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের কোনও পতাকা ছাড়া খেলতে দেওয়া হয়েছে। বাকি খেলাগুলির মতো এই দুই দেশের খেলোয়াড়দের পুরোপুরি নির্বাসন করা হয়নি।