Imane Khelif

নেই জরায়ু, ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ! অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী খেলিফের লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে জটিলতা

আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন খেলিফকে নিষিদ্ধ করেছিল। কারণ তাঁর শরীরে অনুমোদিত মাত্রার বেশি পুরুষ হরমোন রয়েছে। সর্বশেষ মেডিক্যাল রিপোর্টেও তাঁকে পুরুষ বলা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৮
Picture of Imane Khelif

ইমান খেলিফ। ছবি: এক্স (টুইটার)।

গত প্যারিস অলিম্পিক্সে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আলজেরিয়ার বক্সার ইমান খেলিফকে নিয়ে। মহিলাদের ৬৬ কেজি বিভাগে সোনাজয়ী খেলিফের নারীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। খেলিফের দাবি ছিল, তিনি নারীই। তাঁর নারীত্ব আবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ফাঁস হয়ে গিয়েছে তাঁর সর্বশেষ মেডিক্যাল রিপোর্ট।

Advertisement

আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন গত বছর দিল্লিতে আয়োজিত বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে খেলিফকে নিষিদ্ধ করে। কারণ তাঁর শরীরে অনুমোদিত মাত্রার বেশি পুরুষ হরমোন রয়েছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থা (আইওসি) আবার বক্সিং সংস্থার নিয়ম মানে না। তাই প্যারিস অলিম্পিক্সে খেলার সুযোগ পান আলজেরিয়ান বক্সার। সোনাও জেতেন। কিন্তু যে বিতর্ক অলিম্পিক্সে তাঁর সঙ্গী হয়েছিল, সেটাই আবার বড় হয়ে উঠেছে।

ফ্রান্সের সাংবাদিক জাফ্ফর আওদিয়ার দাবি অনুযায়ী, খেলিফ মহিলা নন। তিনি পুরুষ। খেলিফের সর্বশেষ মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁর দু’টি ক্রোমোজোম এবং অভ্যন্তরীণ অণ্ডকোষ রয়েছে। এই অবস্থাকে ফাইভ-আলফা রিডাক্টেস বলা হয়। খেলিফের শরীরে জরায়ুর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এমআরআই রিপোর্টে ‘মাইক্রোপেনিস’ বা ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে প্যারিসের ক্রেমলিন-বিকেত্রে হাসপাতাল এবং আলজিয়ার্সের মহম্মদ লামিন ডেবাঘিন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞেরা মিলে তৈরি করেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, জৈবিক বৈশিষ্ট অনুযায়ী খেলিফ মহিলা নন, তিনি পুরুষ। যদিও খেলিফ সব সময়ই দাবি করেছেন, তিনি মহিলা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং মহিলা হিসাবেই জীবনযাপন করেন। নিজেকে পুরুষ বলে মানতে নারাজ।

খেলিফের মেডিক্যাল রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পর নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর অলিম্পিক্স সোনা কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলছেন অনেকে। তাঁদের অন্যতম ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংহ সমাজমাধ্যমে আইওসিকে ট্যাগ করে খেলিফের প্যারিসের পদক ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন