এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পঞ্জাবে একটি প্রতিযোগিতা চলাকালীন তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা কবাডি খেলোয়াড়দের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন রেফারির একটি সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয় গন্ডগোল। তার পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। সেই সময়ই মহিলা খেলোয়াড়দের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। চেয়ার ছোড়াছুড়িও চলে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন খেলোয়াড়় আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় ‘নর্থ জ়োন ইন্টার ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড অল ইন্ডিয়া ইন্টার ইউনিভার্সিটি কবাডি (মহিলা)’ প্রতিযোগিতা চলছিল। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ুর মাদার টেরিজা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিহারের দ্বারভাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয়। খেলা চলাকালীন রেফারির একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মাদার টেরিজা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগীরা। তার পরেই শুরু হয় বিবাদ।
এক রেফারি তামিলনাড়ুর খেলোয়াড়দের সেখান থেকে বার হয়ে যেতে বলেন। পাল্টা এক খেলোয়াড় অভিযোগ করেন, ওই রেফারি তাঁকে হেনস্থা করেছেন। তার পরেই হাতাহাতি শুরু হয়। তাতে যোগ দেন আরও অনেকে। রেফারির হয়ে এগিয়ে আসেন বেশ কিছু যুবক। তাঁদের সঙ্গেই মহিলা খেলোয়াড়দের মারামারি শুরু হয়। চেয়ার ছোড়াছুড়ি চলে। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল সমাজমাধ্যমে।
এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্ট্যালিন বলেন, “একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বড় আঘাত কারও লাগেনি। সকলের চিকিৎসা হয়েছে। দ্রুত সকলকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে।” এই বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজকদের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।