ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর তিলক বর্মা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিলেন জোফ্রা আর্চার। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। সেই আর্চার তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ বল করেছেন চেন্নাইয়ে। ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়েছেন তিনি। নিয়েছেন ১টি উইকেট। আর্চারকে নিশানা করেছিলেন তিলক বর্মা। তাঁর বলে চারটি ছক্কা মারেন তিনি। কেন ইংল্যান্ডের সেরা বোলারের বিরুদ্ধে বড় শট খেলার পরিকল্পনা করেছিলেন তিলক? নেপথ্য কারণ জানালেন ভারতীয় ব্যাটার।
তিলক জানতেন ইংল্যান্ডের পেসারেরা গতি দিয়ে তাঁদের চাপে রাখার চেষ্টা করবেন। সেই গতির মোকাবিলা করার জন্য নিজেকে তৈরি রেখেছিলেন তিলক। তিনি চেয়েছিলেন সেরা বোলারকে নিশানা করতে। তা হলে বাকিরাও চাপে পড়তেন। সেটাই হয়েছে। ম্যাচ শেষে তিলক বলেন, “আমি ওদের সেরা বোলারকে নিশানা করেছিলাম। যদি আপনি সেরাকে চাপে ফেলে দেন, তা হলে বাকিরাও চাপে পড়ে। তাই অপর প্রান্তে যখন উইকেট পড়ছিল, তখন আমি ওদের সেরা বোলারকে নিশানা করেছিলাম।”
আর্চারের বিরুদ্ধে উইকেটের পিছনে একের পর এক বড় শট খেলেছেন তিলক। অর্থাৎ, আর্চারের গতি ব্যবহার করেছেন তিনি। এই সব শটের প্রস্তুতি তিনি সেরে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিলক। ভারতীয় ব্যাটার বলেন, “আমি বাকিদের জন্য কাজটা সহজ করে দিতে চেয়েছিলাম। তাই নিজের উপর ভরসা রেখে সুযোগ নিয়েছিলাম। আর্চারের বিরুদ্ধে যে সব শট খেলেছি তার প্রস্তুতি নেটে সেরেছি। মানসিক ভাবে আমি তৈরি ছিলাম। তাই কাজটা সহজ হয়েছে।”
অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিলক। তিনি মানসিক ভাবে তৈরি ছিলেন যে শেষ পর্যন্ত খেলবেন। তিলক বলেন, “আমি নিজেকে বলেছিলাম, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকব। ম্যাচ শেষ করে আসতে চেয়েছি। গম্ভীর স্যরের সঙ্গে গত ম্যাচে আমার কথা হয়েছিল। ওকে বলেছিলাম, দলের চাহিদা অনুযায়ী আমি খেলতে পারি। দরকারে ওভারে ৬,৭ রান নিতে পারি। আবার দরকারে ১০,১২ রানও নিতে পারি। গম্ভীর স্যর এই ম্যাচে আমাকে সেটাই করে দেখাতে বলল। সেটা মাথায় রেখেই খেলেছি।”
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছিল ভারত। ৭৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখানে থেকে দলকে জেতান তিলক। শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।