কেকেআরের হয়ে লিটন আইপিএল খেলতে চান। ছবি: টুইটার।
শাকিব আল হাসানকে পাচ্ছে না কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশের আর এক ক্রিকেটার লিটন দাসকে কি পাবেন নীতীশ রানারা? শাকিব আইপিএল খেলতে না চাইলেও লিটন চান কলকাতার জার্সি গায়ে মাঠে নামতে।
এ বারের নিলামে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারকে কিনেছিল কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। কলকাতার দলে বাঙালি ক্রিকেটার বলতে ছিলেন এই দু’জনই। শাকিবের সঙ্গে কলকাতার সম্পর্ক ছেদের ঘোষণা এক রকম সময়ের অপেক্ষা। যদিও লিটনের সঙ্গে আপাতত সম্পর্ক থাকছে কলকাতার। তিনি এখন দেশের হয়ে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া টেস্ট ম্যাচ শেষ হবে ৮ এপ্রিল। তার পর তিনি কেকেআর শিবিরে যোগ দেবেন। দেরিতে এলেও প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত তাঁকে পাবে না কলকাতা। কারণ, আইপিএল চলার সময়ই বাংলাদেশ এক দিনের সিরিজ় খেলতে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে। সিরিজ় চলবে ৯ থেকে ১৪ মে। আইপিএলের গ্রুপ পর্বে কেকেআরের শেষ ম্যাচ ২০ মে। প্লে-অফ বা ফাইনালে উঠলে আরও বেশি ম্যাচ খেলবে তারা। ফলে অন্তত পাঁচ-ছ’টি ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে না। তাই লিটন এলেও দল কতটা উপকৃত হবে, তা নিয়ে চিন্তিত কেকেআর। সর্বোচ্চ আটটি ম্যাচ খেলতে পারবেন তিনি।
শাকিবের বিকল্প বিদেশি খোঁজার কাজ শুরু করেছেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, কয়েকটি ম্যাচের জন্য লিটনকেও না আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। জাতীয় দলের সূচির মাঝের সময়টি তিনি আইপিএল খেলতে চান। ১৪ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কলকাতার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেন লিটন। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট পাঁচ দিনের কমে শেষ হলে ৯ এপ্রিল গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধেও খেলতে পারেন তিনি। তা অবশ্য নির্ভর করবে কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের পরিকল্পনার উপর।
শাকিব এবং লিটনকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অসহযোগিতায় অসন্তুষ্ট কেকেআর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ বোর্ডকে কেকেআর প্রস্তাব দিয়েছিল, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে শাকিব এবং লিটনের মধ্যে এক জন খেলুন। আর অন্য জন যান আয়ারল্যান্ড সফরে। সেই প্রস্তাব মানেননি বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্তারা। লিটন কবে আসবেন বা কত দিন থাকবেন তা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। কলকাতা প্লেঅফ বা ফাইনালে উঠলে তিনি আবার আসবেন কি না সে সম্পর্কেও কিছু জানানো হয়নি। তাঁকে এখনও আইপিএল খেলার ছাড়পত্র দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।