যশপ্রীত বুমরার মাথায় বেগনি টুপি পরিয়ে দিচ্ছেন মুম্বইয়ের বোলিং কোচ লাসিথ মালিঙ্গা। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলের গ্রুপ পর্বের ৫৯টি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। কমলা টুপির মতো বেগনি টুপির জন্যও জোর লড়াই চলছে। শীর্ষে রয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যশপ্রীত বুমরা। তালিকায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের তিন বোলার রয়েছেন।
বেগনি টুপির তালিকায় প্রথম ১০:
১) যশপ্রীত বুমরা (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স)— দল প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেলেও বুমরা ভাল বল করেছেন। ১৩টি ম্যাচে ২০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৬.৪৮। তাঁর সেরা বোলিং ২১ রানে ৫ উইকেট।
২) হর্ষল পটেল (পঞ্জাব কিংস)— দ্বিতীয় স্থানে থাকে হর্ষলের দলও প্লে-অফের লড়াই থেকে বিদায় নিয়েছে। ১২টি ম্যাচে ২০টি উইকেট নিয়েছেন হর্ষল। ওভার প্রতি ৯.৭৫ রান দিয়েছেন তিনি। সেরা বোলিং ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট।
৩) বরুণ চক্রবর্তী (কলকাতা নাইট রাইডার্স)— উপরের দুই বোলার প্লে-অফে না খেলায় বরুণের সুযোগ রয়েছে ছাপিয়ে যাওয়ার। ১২টি ম্যাচে ১৮টি উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। ওভার প্রতি তিনি ৮.৩৪ রান দিয়েছেন। বরুণের সেরা বোলিং ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট।
৪) তুষার দেশপাণ্ডে (চেন্নাই সুপার কিংস)— ১২টি ম্যাচে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ওভার প্রতি ৮.৫২ রান দিয়েছেন তিনি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের দলের পেসারের সেরা বোলিং ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
৫) খলিল আহমেদ (দিল্লি ক্যাপিটালস)— দিল্লির এই বাঁ হাতি পেসার ১৩টি ম্যাচে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি অবশ্য ৯.৫২ রান দিয়েছেন তিনি। খলিলেল সেরা বোলিং ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট।
৬) হর্ষিত রানা (কলকাতা নাইট রাইডার্স)— কেকেআরের এই তরুণ পেসারও রয়েছেন লড়াইয়ে। সাসপেন্ড হওয়ায় ও চোট পাওয়ায় দু’টি ম্যাচ খেলেননি তিনি। না হলে হয়তো উইকেটের সংখ্যা আরও বাড়ত। ১০টি ম্যাচে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন হর্ষিত। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৯.৭১। তাঁর সেরা বোলিং ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট।
৭) আরশদীপ সিংহ (পঞ্জাব কিংস)— বাঁ হাতি এই পেসার ১২টি ম্যাচে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি ১০.৩২ রান দিয়েছেন তিনি। আরশদীপের সেরা বোলিং ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
৮) মুকেশ কুমার (দিল্লি ক্যাপিটালস)— বাংলার এই পেসারও প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন। বাকি ন’জন বোলারের থেকে কম ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৯টি ম্যাচে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন মুকেশ। ওভার প্রতি ১০.৬৩ রান দিয়েছেন তিনি। তাঁর সেরা বোলিং ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট।
৯) সুনীল নারাইন (কলকাতা নাইট রাইডার্স)— আইপিএলের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি কমলার পাশাপাশি বেগনি টুপির লড়াইয়েও রয়েছেন। ১২টি ম্যাচে ১৫টি উইকেট নিয়েছেন নারাইন। ওভার প্রতি দিয়েছেন মাত্র ৬.৬৩ রান। কেকেআরের স্পিনারের সেরা বোলিং ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট।
১০) কুলদীপ যাদব (দিল্লি ক্যাপিটালস)— দিল্লির আরও এক জন ক্রিকেটার প্রথম দশে রয়েছেন। ১০টি ম্যাচে ১৫টি উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ। ওভার প্রতি ৮.৭৪ রান দিয়েছেন এই বাঁ হাতি স্পিনার। তাঁর সেরা বোলিং ৫৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট।