খেলার মধ্যে বিরাট কোহলির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন নবীন উল হক। ছবি: টুইটার
আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হকের জন্যই খেলা শেষে বিবাদে জড়িয়েছেন বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীর। প্রথমে নবীনের সঙ্গেই কথা-কাটাকাটি হয়েছিল কোহলির। সেই ঝামেলায় ঢুকে পড়েন গম্ভীর। শুধু কোহলি নন, এর আগে আরও তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন নবীন। সব মিলিয়ে চারটি দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে মাঠে ঝগড়ায় জড়িয়েছেন তিনি।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ও পাকিস্তান সুপার লিগেও মাঠে ঝামেলা করেছেন নবীন। বিগ ব্যাশে ডার্সি শটের সঙ্গে মাঠে ধাক্কাধাক্কি করেছিলেন নবীন। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে থিসারা পেরেরার সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল তাঁর। পাকিস্তান সুপার লিগে তো পেসার মহম্মদ আমিরের সঙ্গে প্রথমে বিবাদ হয় নবীনের। পরে দলের অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান তিনি। সেই গন্ডগোলও অনেক দূর গড়িয়েছিল।
সেই বিবাদ নিয়ে পড়ে মুখ খুলেছিলেন আফ্রিদি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘খেলায় প্রতিপক্ষকে সম্মান করা উচিত। মাঠে উত্তেজনা হতেই পারে। কিন্তু কেউ যদি বলে তোমাদের সবাইকে আমরা জুতোর নীচে রেখেছি তা হলে সেটা খুব খারাপ। নবীন খারাপ কথা বলেছিল। এ রকম আচরণ করলে বেশি দূর যাওয়া যায় না।’’
আইপিএলে সোমবার ম্যাচ চলাকালীনই নবীনের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় কোহলির। লখনউয়ের ইনিংসের শেষ দিকে বিরাটের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আফগান বোলারের। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয় আম্পায়ারদের। সেই বিবাদ ম্যাচের পরেও চলতে থাকে। নবীন আউট হওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা ভাল ভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেন লখনউয়ের বিদেশি ক্রিকেটার। পাল্টা কিছু বলেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে আসেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। তার পরেই বিবাদ বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে উপস্থিত হন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লখনউয়ের স্পিনার অমিত মিশ্র ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তাঁরা কোহলি, গম্ভীরকে ভাল ভাবে চেনেন। তাঁরাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে আলাদা করেন। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন সেখানে। কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে যান আরসিবির অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি।