২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালেও কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে বদল করেছিলেন ধোনি। যুবরাজ সিংহের আগে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ জেতানো ৯১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এ বার কি সিএসকের হয়েও একই ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।
তিন নম্বরে নামলেন ধোনি ছবি: আইপিএল
সালটা ২০১১। আইপিএলের ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তার পরে দীর্ঘ ১১ বছর পরে ফের হলুদ জার্সিতে তিন নম্বরে নামলেন তিনি। ঘটনাচক্রে চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরে এই ম্যাচের আগেই ফের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়েছেন ধোনি। তা হলে কি এ বারের আইপিএলে নতুন কোনও ইঙ্গিত দিলেন মাহি? এ বার কি নতুন রূপে দেখা যাবে ধোনিকে?
চেন্নাইয়ের হয়ে বরাবর তিন নম্বরে ব্যাট করেছেন সুরেশ রায়না। কখনও কখনও পরিস্থিতি অনুযায়ী অ্যালবি মর্কেল বা সুব্রহ্মণ্যম বদ্রীনাথকে দেখা গিয়েছে তিন নম্বরে নামতে। কিন্তু ২০১১ সালের ফাইনালে আরসিবির বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নামেন ধোনি। ১৩ বলে ২২ রান করেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন রায়না।
এ বারের আইপিএলে রায়নাকে দলে রাখেনি চেন্নাই। তখনই জল্পনা শুরু হয়েছিল, তবে কি ব্যাটিং অর্ডারে উপরে উঠবেন ধোনি। কিন্তু সেটা হয়নি। কোনও ম্যাচে রবিন উথাপ্পা, কখনও অম্বাতি রায়ডু বা কখনও মিচেল স্যান্টনার তিন নম্বরে নেমেছেন। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে ৭ বলে ৮ রান করেন মাহি।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসের পরে ধোনি জানিয়েছেন, পরের বছরও হলুদ জার্সি পরতে দেখা যাবে তাঁকে। এই মরসুমের আগে সিএসকে ম্যানেজমেন্টের তরফেও জানানো হয়েছিল, ২০২২ সাল এবং তার পরেও চেন্নাইয়ের হয়েই দেখা যাবে ধোনিকে। তবে কি এ বার নতুন কিছু করতে চলেছেন মাহি।
২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালেও কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে বদল করেছিলেন ধোনি। যুবরাজ সিংহের আগে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ জেতানো ৯১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এ বার কি সিএসকের হয়েও একই ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।
এ বারের আইপিএলে ভাল ছন্দে নেই চেন্নাই। আট ম্যাচে মাত্র দু’টি জয় এসেছে। মরসুমের মাঝে নেতৃত্বে বদল হয়েছে। ধোনি জানিয়েছেন, দলের স্বার্থে অধিনায়ত্বের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। ধোনির নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচেই চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে দেখা গিয়েছে। ৪০ বছর বয়সে এসে তবে কি ফের নতুন ইনিংস শুরু করতে চাইছেন মাহি? সেই ইঙ্গিত কি প্রথম ম্যাচেই দিলেন তিনি?