কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ফাইল ছবি।
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেখানে আয়কর নিয়ে বড় ঘোষণার প্রত্যাশা করছে আমজনতা। আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলিকে সমৃদ্ধশালী করতে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দিতে পারেন তিনি।
বর্তমানে আয়করের ক্ষেত্রে দেশে দু’টি কাঠামো চালু হয়েছে। একটি হল, নতুন কর ব্যবস্থা। অপরটি পুরনো কর কাঠামো। আয়করদাতা নিজের ইচ্ছে মতো কাঠামো অনুযায়ী কর জমা করতে পারেন। এই নিয়মে নতুন কর কাঠামোতে ন্যূনতম ছাড়ের অঙ্ক তিন লক্ষ টাকা রেখেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ কোন ব্যক্তির বার্ষিক আয়ের পরিমাণ তিন লক্ষ টাকা হলে তাঁকে আয়কর বাবদ কোনও টাকা দিতে হবে না।
আর্থিক বিশ্লেষকদের অনুমান, আসন্ন বাজেটে এই অঙ্ক বৃদ্ধি করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তাঁদের পরামর্শ বার্ষিক তিন লক্ষের বদলে পাঁচ লক্ষ টাকাকে পুরোপুরি কর মুক্ত করা উচিত। এতে মাঝারি আয়ের করদাতারা অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। কর ছাড়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বাড়বে বাজার থেকে পণ্য ক্রয়ের পরিমাণ। এতে অনেকটাই মজবুত হবে ঘরোয়া অর্থনীতি। চড়বে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টস বা জিডিপি) সূচক।
কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমানে নতুন কর কাঠামোর আওতাভুক্তদের বার্ষিক আয় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হলে, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ ছাড় পান তাঁরা। আর্থিক বিশ্লেষকদের পরামর্শ এই অঙ্ক বাড়িয়ে অবিলম্বে ১০ লক্ষ টাকা করুক নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদী মূলধনী লাভের (লং টার্ম ক্যাপিটল গেইন) উপর করের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করেছেন তাঁরা।
মূদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল রাখতে মধ্যবিত্তদের একাংশ স্টক এবং মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করছেন। এগুলিই দীর্ঘ মেয়াদী মূলধনী লাভের আওতাভুক্ত। বর্তমান নিয়মে স্টক বা মিউচুয়াল ফান্ড থেকে বছরে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ছাড় দিয়ে থাকে সরকার। এই অঙ্ক বাড়িয়ে দুই থেকে আড়াই লক্ষ করার প্রস্তাব দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের দাবি, এতে স্টকে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াবে আমজনতা।