দিল্লির বিরুদ্ধে গুজরাতের শামি-ঋদ্ধি জুটির দাপট। ছবি: আইপিএল।
বল হাতে একাই দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটারদের দিশেহারা করে দিলেন মহম্মদ শামি। বাংলার জোরে বোলারের সঙ্গে তাল মেলালেন আর এক বাঙালি ক্রিকেটার। তিনি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁদের দাপট দিল্লির ডাগআউটে বলে দেখতে হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
এ বারের আইপিএলে একে বারেই ভাল ছন্দে নেই দিল্লি। মাত্র দু’টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নাররা। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থা আরও করুণ হল। নতুন বল হাতে শামিকে সামলাতেই পারলেন না তাঁরা। হার্দিক পাণ্ড্যর কাছ থেকে নতুন বল পেয়ে শামি একাই ধস নামালেন দিল্লির ইনিংসে। তাঁর সুইংয়ের হদিশই পেলেন না ফিল সল্ট, রিলি রুসো, মণীশ পাণ্ডেরা। উইকেটের পিছনে শামির মতোই নিখুঁত ঋদ্ধিমানও। তাঁদের যুগলবন্দিতে ২৩ রানেই ৫ উইকেট হারাল দিল্লি।
শামি প্রথম ৩ ওভারে ৪ উইকেট তুলে নিলেন ৭ রান খরচ করে। তাঁর বলে পর পর সাজঘরে ফিরে গেলেন সল্ট (শূন্য), রুসো (৮), মণীশ (১) এবং প্রিয়ম গর্গ (১০)। শামিকে আক্রমণ থেকে সরানোর সাহস দেখাতে পারেননি হার্দিক।
দিল্লির বিরুদ্ধে ৪ ওভার বল করে ১১ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিলেন শামি। তাঁর ৪টি উইকেটের ৩টির ক্ষেত্রেই অবদান রইল ঋদ্ধিমানের। সল্ট ছাড়া বাকি তিন জনের ক্যাচ ধরলেন তিনি। ভারতীয় দল থেকে বহু দূরে সরিয়ে দেওয়া ঋদ্ধিমান উইকেটের পিছনে এখনও আগের মতোই বিশ্বস্ত। বিশেষ করে মণীশের প্রথম স্লিপে দেওয়া ক্যাচ ঝাঁপিয়ে অবিশ্বাস্য ভাবে তালুবন্দি করলেন। বাঙালি উইকেটরক্ষকের দক্ষতা দেখে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ধারাভাষ্যকাররাও।
গুজরাতের হয়ে মাঠে যখন শামি এবং ঋদ্ধিমান প্রতিপক্ষ শিবিরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছেন, সে সময় টেলিভিশনের ক্যামেরায় বার বার ধরা পড়ল এক জনের মুখ। তিনিও বাংলার ক্রিকেটার। এখন আইপিএলের দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট। তিনি সৌরভ। শামি, ঋদ্ধিমানের মুখে যত হাসি দেখা গেল, তত শুকিয়ে গেল মহারাজের মুখ।