রাজস্থানের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেলেন হার্দিকরা। ছবি: আইপিএল।
গুজরাত টাইটান্সকে ঘরের মাঠে প্রথম সাক্ষাতে হারিয়ে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। দ্বিতীয় সাক্ষাতে হার্দিক পাণ্ড্যরা জয়পুরে সঞ্জু স্যামসনের দলকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলেন। আইপিএলের অন্যতম সেরা দু’দলের লড়াই যতটা হাড্ডাহাড্ডি হবে মনে করা হয়েছিল, তা হল না প্রথমার্ধে। বলা ভাল বেশ একপেশেই হল। সহজ জয় পেলেন গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। ১৩.৫ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১১৯ রান তুলে নিলেন তাঁরা।
কম রানের লক্ষ্য পেয়েও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জিততে পারেননি হার্দিকরা। সেই আফসোস জয়পুরে মিটিয়ে নিলেন তাঁরা। জয়ের জন্য ১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে জয় তুলে নিল গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমন গিল এই মরসুমে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি গড়লেন। ৩৫ বলে ৩৬ রান করে শুভমন যখন আউট হলেন, তখন গুজরাতের রান ৯.৪ ওভারে ৭১। জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছেন হার্দিকরা। তিন নম্বরে নেমে গুজরাত অধিনায়ক রান তোলার গতি বাড়িয়ে দিলেন দাপুটে ব্যাটিং করে। উইকেটের অন্য প্রান্তে ভরসা দিলেন ঋদ্ধিমানও। তিনি অপরাজিত থাকলেন ৩৪ বলে ৪১ রান করে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৫টি চার। ব্যাটে ঝড় তুলে হার্দিক ১৫ বলে করলেন অপরাজিত ৩৯ রান। ৩টি করে চার এবং ছক্কা মারলেন তিনি। দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর রাজস্থানের বোলারদের বিশেষ কিছু করার ছিল না।
টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে প্রতিপক্ষকে বড় রানের লক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতা তাঁর সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিল। সঞ্জু ছাড়া ২২ গজে কেউ দাঁড়াতেই পারলেন না সে ভাবে। দ্বিতীয় ওভার থেকেই ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাতে শুরু করে রাজস্থান। জস বাটলার (৮), যশস্বী জয়সওয়াল (১১), দেবদত্ত পাড়িক্কালরা (১২) দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (২) পিঞ্চ হিটার হিসাবে নামানোর পরিকল্পনাও সফল হল না রাজস্থানের। পরের ব্যাটাররা কেউই দু’অঙ্কের রান করতে পারলেন না।
কিছুটা লড়াই করলেন সঞ্জু। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২০ বলে ৩০ রান। ৩টি চার এবং ১টি ছয় মারলেন তিনি। শেষ দিকে ট্রেন্ট বোল্ট আগ্রাসী ব্যাটিং করে দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। ১১ বলে ১৫ রান করলেন তিনি। তাতে অবশ্য বিশেষ লাভ হল না। রাজস্থানের ইনিংস শেষ হল ১৭.৫ ওভারে ১১৮ রানে।
শুক্রবার বল হাতে জ্বলে উঠলেন রশিদ খান। ১৪ রান খরচ করে তুলে নিলেন ৩ উইকেট। ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নুর আহমেদের। দুই আফগান স্পিনারকে সামলাতে পারলেন না রাজস্থানের ব্যাটাররা। উইকেটের দু’প্রান্ত থেকে তাঁদের বুদ্ধু করে ব্যবহার করলেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন হার্দিক, জস লিটল, মহম্মদ শামি।