মার্কাস স্টোয়নিস। ছবি: পিটিআই।
অস্ট্রেলিয়ার চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে শতরান করে জানিয়ে দিলেন, চুক্তিতে না থাকলেও দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে চান। তিনি মার্কাস স্টোয়নিস।
এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ১২৪ রানে অপরাজিত থেকে লখনউকে প্লে-অফের দৌড়ে রাখলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে তিনি বলেন, ‘‘কোচের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল। চুক্তিতে আমার যে নাম ওঠেনি, বেশ কিছু দিন আগেই জেনেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘চুক্তি থাকবে চুক্তির জায়গায়। সেটা না থাকলে কি দেশের হয়ে খেলা যাবে না? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। আশা করি, চুক্তি না থাকায় বিশ্বকাপ খেলতে কোনও সমস্যা হবে না।’’
প্রথম বল থেকেই বড় শট নিতে চাননি স্টোয়নিস। তিনি প্রথমে পিচে থিতু হয়েছেন, তার পরে শুরু করেছেন শট নেওয়া। বলছিলেন, ‘‘শুরু থেকেই বড় শট নিতে গেলে এই ম্যাচ বার করা সম্ভব হত না। পুরান আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। যে বোলারের বিরুদ্ধে আমি রান বার করতে পারছিলাম না, ও করে দিচ্ছিল, হুডাও ভাল ইনিংস খেলেছে। এটা সম্মিলীত প্রয়াসে জয়। আমি একা এই ম্যাচ জেতাইনি।’’
আইপিএলে বেশির ভাগ ম্যাচেই বড় রান করতে দেখা যাচ্ছে দলগুলোকে। ২০০ রানও এখন আর জয়সূচক রান নয়। তা প্রমাণ হচ্ছে বারবার। স্টোয়নিস মনে করেন, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মই বড় রানের মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছে। অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকা মানে যে কোনও দল এক জন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান অথবা বোলার খেলাতে পারে। মোট ১২ জনে খেলা। এই নিয়মই এত রান উঠতে সাহায্য করছে।’’ যোগ করেন, ‘‘বিশ্বকাপে মনে হয় না এত রান উঠবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ মন্থর হয়। বল ব্যাটে বেশি আসে না। আইপিএলের পিচ অন্য রকম হয়। দর্শকদের বিনোদনের জন্য এত ভাল পিচ তৈরি করা হয়। কিন্তু বিশ্বকাপে এই রকম পিচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’’
স্টোয়নিস এখন থেকেই বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু করেছেন।