অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। ছবি: আইএসএল
আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে ভাল খেলেছেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। ব্যাট হাতে কেকেআরের হয়ে প্রথম বার নেমেই অর্ধশতরান করেছেন তিনি। দলের সর্বোচ্চ রান তুলতে সাহায্য করেছেন। সেই ইনিংসের পর অঙ্গকৃশের প্রশংসা করেছিলেন শ্রেয়স আয়ার। কিন্তু অধিনায়কের প্রশংসাতেও সন্তুষ্ট নন কেকেআরের নতুন প্রতিভা। জানিয়েছেন, অধিনায়ক একটি দক্ষতার কথা মনে করাতে ভুলেই গিয়েছেন।
দিল্লি ম্যাচের পর অঙ্গকৃশকে নিয়ে শ্রেয়স বলেছিলেন, “প্রথম বল থেকেই ভয়ডরহীন খেলেছে। ও যা পরিশ্রম করে সেটা অসাধারণ। যে সব শটগুলো খেলেছে, তা দেখে খুব ভাল লেগেছে।” কেকেআরের সমাজমাধ্যমে শ্রেয়সের বক্তব্য পোস্ট করা হয়। সেই বক্তব্যই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিয়ে অঙ্গকৃশ লিখেছেন, “অধিনায়ক, তুমি আমার ফিফা খেলার দক্ষতার কথাই ওদের বললে না?”
ফিফা হল একটি ভিডিয়ো গেম। বিভিন্ন দেশের ফুটবল তারকাদের নিয়ে নিজের মতো করে দল গড়ে খেলা যায় অন্য কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে। ফুটবলারেরা তো বটেই, ক্রিকেটারেরাও একাকীত্ব কাটাতে এবং দলের বন্ধন দৃঢ় করতে সতীর্থদের সঙ্গে এই খেলা খেলে থাকেন। রিঙ্কু সিংহ এই খেলায় পারদর্শী। এ বার জানা গেল, অঙ্গকৃশও ফিফা ভালই খেলেন।
দিল্লি ম্যাচের পর কেকেআরের সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারকে ধন্যবাদ দিয়ে অঙ্গকৃশ বলেছিলেন, “আমাকে সব কিছুতে সাহায্য করেছেন উনি। কী ভাবে খেলব, কী খাব সব খেয়াল রেখেছেন। উনি আমার সত্যিকারের গুরু।” ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেকের পরামর্শ পেয়ে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম দীনেশ কার্তিক, যাঁর পুনরুত্থান দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব।
কী ভাবে অঙ্গকৃশকে সাহায্য করেছেন অভিষেক? তরুণ ক্রিকেটারের কথায়, “খুব সহজ। গত কয়েক বছর ধরে ওঁর অধীনে অনুশীলন করছি। তাই ব্যাট করতে নামার সময় আলাদা কোনও ভাবনা ছিল না। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গি কাজে লাগিয়ে ব্যাট করেছি। নিজের অনুশীলন এবং দক্ষতার উপরে ভরসা রেখেছি। যথেষ্ট অনুশীলন করেছি আগে। কঠিন পরিস্থিতিতে কী ভাবে খেলতে হয় সেটা শিখিয়ে দিয়েছেন অভিষেক স্যর।”