আইপিএলের প্লে-অফে উঠলেও একটি বিষয় চিন্তায় রেখেছে হার্দিককে। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলের প্লে-অফে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল গুজরাত টাইটান্স। ছন্দ ধরে রাখতে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধেও গা ছাড়া মনোভাব দেখাননি হার্দিক পাণ্ড্যরা। বিরাট কোহলিদের হারালেও দলের পারফরম্যান্সে পুরোপুরি খুশি নন গুজরাত অধিনায়ক।
স্বস্তির মধ্যেও একটি বিষয় অস্বস্তিতে রেখেছে হার্দিককে। লিগ পর্বে ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ১০টি জিতলেও দলের বোলিং নিয়ে কিছুটা চিন্তিত গুজরাত অধিনায়ক। কোহলিদের বিরুদ্ধে গুজরাতের হয়ে পাঁচ জন বল করেছেন। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার রশিদ খান (৪ ওভারে ২৪ রান) ছাড়া বাকি চার জনই প্রচুর রান দিয়েছেন। মহম্মদ শামি ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৯ রান। যশ দয়াল ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৯ রান। আফগান স্পিনার নুর আহমেদও ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৯ রান। সব থেকে বেশি রান দিয়েছেন মোহিত শর্মা। তিনি ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৫৪ রান। এই বিষয়টিই উদ্বেগে রেখেছে গুজরাত অধিনায়ককে। হার্দিক জানেন প্লে-অফ পর্বে বোলাররা এ ভাবে রান দিলে খেতাব ধরে রাখা কঠিন হতে পারে।
গুজরাত অধিনায়ক অবশ্য কারও নাম করেননি। তবে আরসিবির বিরুদ্ধে দলের বোলারদের পারফরম্যান্সে যে তিনি খুশি নন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন হার্দিক। সতীর্থদের কিছুটা সতর্ক করে দেওয়ার সুরে হার্দিক বলেছেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই আরও ভাল বোলিং করতে হবে। এই জায়গাটায় উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। ছেলেরা নিজেদের চরিত্রের দৃঢ়তা প্রমাণ করেছে। যে ভাবে আমরা প্লে-অফে পৌঁছেছি, সেটা দুর্দান্ত। দলের সকলের জন্য আমি গর্বিত। প্লে-অফে ওঠা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ দারুণ ভাবে সামলেছে ছেলেরা। এ বার আমাদের চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। সেটা আবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের ঘরের মাঠে।’’
লিগের শেষ ম্যাচে দল জেতায় সন্তুষ্ট হার্দিক। রবিবার ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, ‘‘মঙ্গলবার আমাদের কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে। তার আগে ছন্দ ধরে রাখতে চেয়েছিলাম আমরা। সেটা ধরে রাখতে পারায় দলের সকলে স্বস্তি পেয়েছে।’’
হার্দিকের মুখে শোনা গিয়েছে শুভমন গিলের প্রশংসা। রবিবার আইপিএলের দ্বিতীয় শতরান করেছেন তরুণ ওপেনিং ব্যাটার। রান তাড়া করতে নেমে ৫২ বলে ১০৪ করেছেন শুভমন। ৫টি চার এবং ৮টি ছয় দিয়ে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। এখনও পর্যন্ত এ বারের আইপিএলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬৮০ রান। কমলা টুপির জেতার দৌড়ে চলেছে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। তরুণ সতীর্থের ছন্দে খুশি হার্দিক। শুভমনের ঠান্ডা মাথায় খেলতে পারার গুণের প্রশংসা করেছেন তিনি।