আইপিএলে আরও একটি ম্যাচ হেরে হতাশ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটারেরা। ছবি: আইপিএল।
সময়টা ভাল যাচ্ছে না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। মাঠে একের পর এক ম্যাচ হারছেন হার্দিক পাণ্ড্যেরা। মাঠের বাইরেও বিতর্কে জড়াচ্ছেন তিনি। রোজ নতুন নতুন বিতর্ক দেখা দিচ্ছে। এ বার মুখ খুললেন ছ’বার আইপিএল জেতা ক্রিকেটার অম্বাতি রায়ডু। কী অভিযোগ করলেন তিনি?
মুম্বইয়ের হয়ে আট বছর আইপিএল খেলেছেন রায়ডু। পরে চেন্নাইয়ের হয়েও খেলেছেন তিনি। দু’টি দলের হয়েই আইপিএল জিতেছেন রায়ডু। কিন্তু দুই দলে খেলার সংস্কৃতি যে সম্পূর্ণ আলাদা তা জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে রায়ডু বলেন, “চেন্নাই প্রসেসের দিকে বেশি নজর দেয়। ওরা খেলার পরে সেই খেলা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে বসে না। খেলার ফলের উপর নির্ভর করে ওখানে কিছু হয় না। মুম্বই কিছুটা আলাদা। ওরা জিততে চায়। জয়ের বাইরে কিছু ভাবে না। ওটাই ওদের সংস্কৃতি। না জিতলে মুম্বইয়ের সাজঘরের পরিবেশ অন্য রকম হয়ে যায়”
দু’দলের বিচার করলে চেন্নাইয়ে খেলার পরিবেশ অনেক ভাল বলে জানিয়েছেন রায়ডু। ডান হাতি ব্যাটার বলেন, “দুটো দলের সংস্কৃতি আলাদা। তবে দুটো দলই আইপিএলে সফল। আমাকে বিচার করতে বললে আমি চেন্নাইকে এগিয়ে রাখব। মুম্বইয়ে বেশি দিন খেললে মাথা খারাপ হয়ে যাবে।”
ভাল খেলতে না পারলে মুম্বইয়ের প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া মুশকিল। দলের ম্যানেজমেন্ট নাম নয়, একমাত্র সাফল্য বিচার করে বলে জানিয়েছেন রায়ডু। তিনি বলেন, “আমি মুম্বইয়ের হয়ে খেলার সময় অনেক উন্নতি করেছি। আসলে ম্যাচ জেতাতে না পারলে ওখানে অজুহাত দেওয়া যায় না। দিনের শেষে আপনাকে খেলতে হবে। মুম্বইয়ের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলতে হলে আপনাকে নিজেকেই উন্নতি করতে হবে। অন্য দিকে চেন্নাই এক জন ক্রিকেটারের মান আরও ভাল করার দিকে নজর দেয়। ওরাই আপনাকে উন্নত করে দেবে।”
২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুম্বইয়ের হয়ে খেলেছেন রায়ডু। ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে আইপিএল জিতেছেন। পরে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন তিনি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের দলের হয়ে ২০১৮, ২০২১ ও ২০২৩ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রায়ডু। কিন্তু দু’দলের মধ্যে বিচার করে চেন্নাইকে এগিয়ে রেখেছেন তিনি।
এ বারের আইপিএলে আটটি ম্যাচ খেলে তিনটি জিতেছে মুম্বই। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সপ্তম স্থানে স্থানে রয়েছেন হার্দিকেরা। এ বারই রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক এখনও থামেনি। তার মাঝেই মুখ খুললেন রায়ডু।