২০১০ সালে ভারতের সানিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পাকিস্তানের শোয়েবের। —ফাইল চিত্র
সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিকের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার মুখে! এমনটাই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি জাং’ এমনটাই জানিয়েছে। ২০১০ সালে ভারতের সানিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পাকিস্তানের শোয়েবের। সেই সম্পর্কই ভেঙে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সানিয়া এবং শোয়েব একসঙ্গে থাকছেন না। তাঁদের একমাত্র সন্তান ইজহান মির্জা মালিককে যদিও তাঁরা একসঙ্গেই দেখাশোনা করছেন বলে জানা গিয়েছে। শোয়েবের অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সে কারণেই ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই গুঞ্জন আরও বেড়েছে সানিয়ার কিছু পোস্টের পর।
ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে সানিয়া লেখেন, “ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।” ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা ছেলেদের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ইজহান তাঁকে চুমু খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সানিয়া লেখেন, “যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।”
সানিয়া বা শোয়েব যদিও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু বলেননি। এ বছর ইউএস ওপেনে খেলে অবসর নেবেন বলে জানিয়েছিলেন সানিয়া। কিন্তু চোটের কারণে এ বারের ইউএস ওপেনে খেলতেই পারবেন না সানিয়া মির্জা। তাতেই বদলে গিয়েছে অবসরের ভাবনা। ডাবলসে একাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ভারতীয় টেনিস তারকা ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের উদ্দেশে লেখেন, “আমার কাছে একটা খারাপ খবর আছে। দু’সপ্তাহ আগে কানাডাতে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলাম। সেটা যে এতটা খারাপ হবে বুঝিনি। গত কাল স্ক্যান করানো হয়েছে। পেশিতে চোট রয়েছে। বেশ কিছু সপ্তাহ খেলতে পারব না। ইউএস ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। এটা খুব ভাল হল। ভুল সময়ে এসে এমন হল। এর ফলে আমার অবসরের পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন হতে পারে। সবাইকে জানিয়ে দেব।”
মেয়েদের ডাবলসে এক সময় এক নম্বর ছিলেন সানিয়া। তাঁর ঝুলিতে মেয়েদের ডাবলস বিভাগে রয়েছে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। মিক্সড ডাবলসেও জিতেছিলেন তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। আনন্দবাজার অনলাইনকে সানিয়া জানিয়েছিলেন, এই মরসুমের শেষে অবসর নেবেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউএস ওপেনের পরেই অবসর নিতে পারতেন সানিয়া। কিন্তু চোটের কারণে সেই প্রতিযোগিতাতে নামতে না পারায় এখনই অবসরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তিনি।
শোয়েব এক সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। গত বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন তিনি। এ বছর যদিও বাবর আজ়মের দলে জায়গা হয়নি তাঁর।