Brij Bhushan Sharan Singh

নিগ্রহে অভিযুক্ত কুস্তিকর্তার স্বস্তি, শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে গেলেন ব্রিজভূষণ

যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছেন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বৃহস্পতিবার জামিন পেলেন ব্রিজভূষণ। যদিও শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। 

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৪
Brij Bhushan Sharan Singh

ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। ছবি: পিটিআই।

জামিন পেলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছেন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বৃহস্পতিবার জামিন পেলেন ব্রিজভূষণ। যদিও শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার আদালতে এসেছিলেন ব্রিজভূষণ। হাসিমুখেই আদালত চত্বর ছাড়তে দেখা যায় তাঁকে। জামিন দেওয়া হয়েছে ফেডারেশনের সহ-সচিব বিনোদ তোমরকেও। ২৮ জুলাই আবার এই মামলার শুনানি হবে।

কুস্তিগিরেরা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেছিলেন। সেই ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু আপাতত জামিন পেয়ে স্বস্তিতে ব্রিজভূষণ। গত মঙ্গলবার শুনানি ছিল ব্রিজভূষণের মামলার। সে দিন ৪৮ ঘণ্টার অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এই জামিন পেয়েছিলেন ব্রিজভূষণ। বৃহস্পতিবার আবার মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেই শুনানির পর ব্রিজভূষণকে ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, ব্রিজভূষণ দেশ ছেড়ে বাইরে যেতে পারবেন না এবং অভিযোগকারীদের কোনও রকম হুমকি দিতে পারবেন না।

Advertisement

মঙ্গলবার কুস্তিকর্তাকে দুপুর আড়াইটেয় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির আদালত। সেই মতো নির্দিষ্ট সময়েই আদালতে গিয়ে পৌঁছন ব্রিজভূষণ। কুস্তিকর্তা হওয়ার পাশাপাশি তিনি বিজেপি সাংসদও। তার ফলে আগে থেকে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। শুনানির শুরুতেই আগাম জামিনের আবেদন করেন ব্রিজভূষণের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান, তদন্তের স্বার্থে ব্রিজভূষণ সব রকমের সহযোগিতা করেছেন। কোথাও পালিয়েও যাননি। তাই তাঁকে আগাম জামিন দেওয়া হোক। জামিনের বিরোধিতা করেনি দিল্লি পুলিশ। কিন্তু তাঁদের আইনজীবী জানান, কয়েকটি শর্ত মানতে হবে ব্রিজভূষণকে। এই সময়ের মধ্যে দিল্লি ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না তিনি। অভিযোগকারী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা বা তাঁদের ভয় দেখানো যাবে না। এই শর্ত মানতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ব্রিজভূষণ। তার পরেই দু’দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিলেন বিচারক।

এক নাবালিকা-সহ ছ’জন মহিলা কুস্তিগির অভিযোগ করেছিলেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। কিন্তু দীর্ঘ দিন দিল্লি পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করায় যন্তর মন্তরে ধর্না দেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটদের মতো কুস্তিগিরেরা।

আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর সাজা হতে পারে ব্রিজভূষণের। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ), ৩৫৪এ (যৌন হয়রানি), ৩৫৪ ডি (উত্ত্যক্ত করা) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সহ-সচিব এবং অন্যতম অভিযুক্ত বিনোদ তোমরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ), ৩৫৪এ (যৌন হয়রানি), ১০৯ (প্ররোচনা) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের (৩৫৪ ধারায়) কারাবাস হতে পারে। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মোট ১০৮২ পাতার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement