হরমনপ্রীত কৌর। — ফাইল চিত্র।
বুধবার এক দিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১০৮ রানে হারিয়ে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। ব্যাটে-বলে জেমাইমা রদ্রিগেসের দাপটে জিতেছে তারা। সেই জেমাইমাই সমস্যায় ফেললেন বাংলাদেশের সঞ্চালককে। ম্যাচের পর ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন তিনি। ভুল করে হরমনপ্রীতকে জেমাইমা বলে ডেকে বসেন তিনি। হরমনপ্রীত সঙ্গে সঙ্গে ভুল শুধরে দিলেও সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ম্যাচের পর সঞ্চালক সাধারণত দুই দলের অধিনায়ক এবং ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেন। সে ভাবেই বুধবার প্রথমে কথা বলতে আসেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাহিদা আখতার (অধিনায়ক নিগার সুলতানা অসুস্থ বোধ করায় আসতে পারেননি)। তার পরে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার জেমাইমার সঙ্গে কথা বলেন সঞ্চালক। একদম শেষে ভারতের অধিনায়ককে ডেকে নেন। কথা শেষ হওয়ার সময়েই তিনি বলেন, “আপনাকে ধন্যবাদ জেমাইমা রদ্রিগেস।” হরমনপ্রীতের হাতে তখনও মাইক্রোফোন ধরা। তিনি বলেন, “হরমনপ্রীত কৌর। ধন্যবাদ।” স্বাভাবিক ভাবেই সঞ্চালককে কিছুটা অপ্রস্তুত দেখায়। অনেকেরই ধারণা, জেমাইমা ঠিক আগেই পুরস্কার নিতে ওঠায় গুলিয়ে ফেলেছিলেন সঞ্চালক।
“Thank you very much, Jemimah and congratulations”
— shreya (@shreyab27) July 19, 2023
“Harmanpreet Kaur, thank you”
*mic drop*#BANvIND pic.twitter.com/cbWIkCQW2N
বুধবারের ম্যাচে ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার প্রিয়া পুনিয়ার উইকেট হারায় ভারত। যস্তিকা ভাটিয়াও রান পাননি। স্মৃতি মন্ধানা শুরুটা ভাল করলেও বড় রান করতে পারেননি। ৩৬ রানের মাথায় তিনি আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত।
কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত ও জেমাইমা। ভারতীয় দলের হয়ে সাধারণত তিন নম্বরে নামলেও এই ম্যাচে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ইনিংস খেললেন জেমাইমা। তিনি এক দিকে রান করায় কিছুটা সময় পান হরমন। তাঁরা দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুই ব্যাটারের মধ্যে ১৩১ রানের জুটি হয়। এই জুটিই দলকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করায়।
দুই ব্যাটারই অর্ধশতরান করেন। তবে হরমনপ্রীত কিছুটা ধীরে খেলেন। ৮৮ বলে ৫২ রান করেন তিনি। অন্য দিকে মন্থর উইকেটেও ৭৮ বলে ৮৬ রান করেন জেমাইমা। শতরান করার সুযোগ ফস্কান তিনি। হরলীন দেওল ২৫ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান করে ভারত। বাংলাদেশের হয়ে সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আখতার দু’টি করে এবং মারুফা আখতার ও রাবেয়া খান একটি করে উইকেট নেন।
২২৯ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটাও ভাল হয়নি। মাত্র ৩৮ রানে দলের তিন উইকেট পড়ে যায়। চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন ফরগনা হক ও রিতু মণি। দু’জনের মিলে দলের রান ১০০ পার করান। রানের গতি কম হলেও ধীরে ধীরে লক্ষ্যের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু ৪৭ রান করে ফরগনা আউট হওয়ার পরেই ব্যাটিং বিপর্যয় হয় দলের।
বাংলাদেশের শেষ সাত উইকেট পড়ে যায় মাত্র ১৪ রানে। শেষ ছয় ব্যাটারের কেউ দু’অঙ্কে যেতে পারেননি। ব্যাটের পরে বল হাতেও কামাল করেন জেমাইমা। ৩.১ ওভারে তিন রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। আর এক স্পিনার দেবীকা বৈদ্য নেন তিন উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মেঘনা সিংহ, দীপ্তি শর্মা ও স্নেহ রানা। ৩৫.১ ওভারে ১২০ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।