ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। —ফাইল চিত্র
ভারতীয় কুস্তির নতুন কমিটি তৈরি হওয়ার তিন দিন পরেই সেই কমিটিকে সাসপেন্ড করেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নিজের ফেলে দেওয়া পদ্মশ্রী ফেরত নিতে চান বলে জানিয়েছেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। এ বার মুখ খুললেন ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ ও সঞ্জয় সিংহ। ব্রিজভূষণ কুস্তির প্রাক্তন কর্তা। অন্য দিকে নির্বাচনে জিতে নতুন কর্তা হয়েছিলেন সঞ্জয়। বজরংকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন ব্রিজভূষণ।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরে ব্রিজভূষণ বলেন, ‘‘আমি ১২ বছর ধরে কুস্তিগিরদের জন্য কাজ করেছি। সময়ই জবাব দেবে আমি ন্যায় করেছি কি না। আমি কুস্তি থেকে অবসর নিয়েছি। কুস্তির সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কমিটি সমস্যার সমাধান করবে। এই সাসপেন্ড করার নেপথ্যে আমার কোনও ভূমিকা নেই।’’
তবে সেখানেই থেমে থাকেননি ব্রিজভূষণ। বজরংদের পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কারা ধর্নার নামে কুস্তির ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে সেটা সবাই দেখেছে। বার বার নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা করে গিয়েছে কয়েক জন। সেই উদ্দেশ্যেই আমার নামে কুৎসা রটিয়েছে। সব সত্যি সামনে আসবে।’’
মুখ খুলেছেন সদ্য নির্বাচিত কমিটির সভাপতি সঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিমানে ছিলাম। তাই বিস্তারিত ভাবে কিছু জানি না। আমি এখনও কোনও চিঠিও পাইনি। প্রথমে দেখব যে সরকার ঠিক কী বলেছে, তার পরে আমাদের পদক্ষেপ করব।’’
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরে বজরং বলেন, ‘‘ক্রীড়া মন্ত্রক একেবারে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। আমরা অভিযোগ করেছিলোম যে নতুন কমিটির উপর রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। ওরা বলে আমরা হরিয়ানা বনাম উত্তরপ্রদেশের বিভাজন করছি। সেটা সত্যি কথা নয়। আমরা দেশের হয়ে পদক জিতেছি। আমরা কমিটিতে রাজনীতি চাই না। আমরা মুখ খোলায় আমাদের ভয় দেখিয়েছে। ব্রিজভূষণ (শরণ সিংহ) কি সরকারের থেকেও বড়?’’
বজরংয়ের অভিযোগ, দেশের সব রাজ্যের কুস্তি ব্রিজভূষণের নির্দেশেই চলে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দাবি একই আছে। ভারতীয় কুস্তি সংস্থায় ব্রিজভূষণ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। সব রাজ্যে ওর লোক আছে। ওরাই সব চালায়। এতে দেশের কুস্তির ক্ষতি হচ্ছে।’’
নতুন কমিটি যদি সাসপেন্ড থাকে তা হলে নিজের ফেলে দেওয়া পদ্মশ্রী আবার ফিনিয়ে নিতে রাজি বজরং। তিনি জানিয়েছেন, হতাশা ও রাগ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বজরং বলেন, ‘‘আমরা কিছু করেছি বলেই সরকার আমাদের পুরস্কার দিয়েছে। আমরা দেশদ্রোহী নই। অবশ্যই সম্মান ফিরিয়ে নেব। দেশের জন্য নিজেদের ঘাম, রক্ত দিয়েছি। এই দেশের সম্মান আমাদের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’ এ বার বজরংকে পাল্টা দিলেন ব্রিজভূষণ।