real madrid

UCL: প্রযুক্তিতে বাতিল বেঞ্জেমার গোল, রিয়ালের স্বস্তি ফেরালেন ভিনিসিয়াস

এ দিন প্যারিসের স্তাদ দে ফ্রান্স স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল শুরুর সময় আধঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ০৬:৪০
যুযুধান: বেঞ্জেমার আক্রমণ লিভারপুলের রক্ষণে। শনিবার। রয়টার্স

যুযুধান: বেঞ্জেমার আক্রমণ লিভারপুলের রক্ষণে। শনিবার। রয়টার্স

উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন লিভারপুলের সমর্থকেরা গোল প্রযুক্তির (ভার) সিদ্ধান্তের দিকে। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করিম বেঞ্জেমার শট লিভারপুলের জালে জড়ানোর পরেই অফসাইড ডাকা হয়। শেষ পর্যন্ত ভিডিয়ো প্রযুক্তিতে সেই গোল বাতিল করার পরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ‘দ্য রেডস’ সমর্থকেরা।

ফাইনালের প্রায় গোটা প্রধমার্ধ জুড়েই লিভারপুল এগিয়ে থাকলেও বেঞ্জেমার ওই একটা শটে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন মহম্মদ সালাহরা। চাপ কাটে ভার-এর সিদ্ধান্তে। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবেই। তবে ৫৯ মিনিটে রিয়াল শিবিরে গোল করে স্বস্তি ফেরান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ১-০ এগিয়ে যান করিম বেঞ্জেমারা।

Advertisement

এ দিন প্যারিসের স্তাদ দে ফ্রান্স স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল শুরুর সময় আধঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে জানানো হয়, ‘‘নিরাপত্তাজনিত কারণে ম্যাচ শুরু হওয়ার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ কেন এই দেরি? ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে দিতে সময় লাগছিল স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাবাহিনীর। এই কারণেই নাকি অনেক দর্শকই স্টেডিয়ামের গেটেই আটকে ছিলেন। তাঁদের কথা ভেবেই ম্যাচ শুরু সময় আধ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

২০১৮ সালের হারের পরে ফের রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ফাইনালে। কিন্তু চার বছরের ব্যবধানে পাল্টে গিয়েছে বিশ্বের ছবিটাও। ইউক্রেনের উপরে রাশিয়ার আক্রমণের পরে যেন বিভক্ত হয়ে গিয়েছে পৃথিবী। কিন্তু তিনি, য়ুর্গেন ক্লপ বিশ্বাস করেন, হিংসা দিয়ে কোনও কিছুই জয় করা যায় না। তাই তাঁর লিভারপুল ফুটবলারদের তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ফাইনাল ম্যাচটা খেলতে হবে রুশ আক্রমণে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের কথা মনে রেখে।

শনিবার ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামার আগে ক্লপ বলেছিলেন, “আমি দলের সমস্ত ফুটবলারকে বলে দিয়েছি, এই ম্যাচটা খেলো ইউক্রেনের যুদ্ধবিদ্বস্ত মানুষদের কথা মাথায় রেখে। জানি, ইউক্রেনের কিছু মানুষ হয়তো নিজের দেশে বসে এই ম্যাচ দেখবেন। আমরা তাঁদের জন্য নিজেদের একশো শতাংশ উদ্যম উজাড় করে দেব।”

সেখানেই না থেমে ক্লপ আরও বলেছেন, “প্যারিসে এই ফাইনাল হওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। যুদ্ধ কিন্তু এখনও থেমে যায়নি। ফলে গোটা বিষয়টা নিয়ে আমাদের সকলকে আরও গভীরে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। ফুটবলকে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ গণ্ডিতে আটকে রাখা যাবে না। ফলে ইউক্রেনের মানুষদের কথা মনে রেখে সেরা ফুটবল উপহার দিতে হবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement