Indian Football

ভারতীয় ফুটবলে গন্ডগোল, ফেডারেশন কর্তার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ মহিলা ফুটবলারদের

ফেডারেশনের কর্তার বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ তুললেন দুই মহিলা ফুটবলার। হিমাচল প্রদেশের ক্লাব খাড় এফসি-র দুই ফুটবলার এই অভিযোগ এনেছেন ফেডারেশনের কর্মসমিতির সদস্য দীপক শর্মার বিরুদ্ধে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৭:১২
football

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভারতীয় ফুটবলে গন্ডগোলের শেষ নেই। কিছু দিন আগে এক পুরুষ কর্মীর বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা কর্মী। এ বার ফেডারেশনের কর্তার বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ তুললেন দুই মহিলা ফুটবলার। জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের ক্লাব খাড় এফসি-র দুই ফুটবলার এই অভিযোগ এনেছেন ফেডারেশনের কর্মসমিতির সদস্য দীপক শর্মার বিরুদ্ধে।

Advertisement

ওই ফুটবলারদের অভিযোগ, গোয়ায় ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ চলাকালীন হোটেলের ঘরে শর্মা তাঁদের নিগ্রহ করেছেন। শুক্রবার ফেডারেশনের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন দুই মহিলা ফুটবলার। তাঁরা জানিয়েছেন, রান্না করতে দেখে রেগে যান ওই কর্তা। তার পরেই নিগ্রহ করেন। দীপক হিমাচল প্রদেশ ফুটবল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং ফেডারেশনের কম্পিটিশন কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান।

ফুটবলারদের অভিযোগ, ঘটনার সময় দীপক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। হিমাচল প্রদেশ থেকে গোয়া আসার সময় ফুটবলারদের সামনেই মদ্যপান করেছেন। অভিযোগকারী এক ফুটবলার এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “সে দিন আমার চোট ছিল। ঘরে ডিম এনেছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করছিলাম। তখন স্যর আমাদের নিজের ঘরে ডাকেন। আমার সতীর্থ তাঁর ঘরে যায় এবং ওকে জিজ্ঞাসা করা হয় আমরা কী করছিলাম। ও বলেছিল, ডিম রান্না করছি। তখন ওকে বকাবকি করেন এবং আমাকে ডেকে পাঠান। জিজ্ঞাসা করেন কেন ডিম রান্না করছি।”

মহিলা ফুটবলারটির আরও অভিযোগ, “আমি বলেছিলাম, ঘরে খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে বলেই রান্না করছি। উনি সব ছুড়ে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমি কাঁদতে শুরু করি এবং নিজের ঘরে গিয়ে দরজা ধাক্কাতে শুরু করি। সেটা শুনে স্যর আমাদের ঘরে আসেন এবং কোনও অনুমতি ছাড়াই ঘরে ঢুকে পড়েন। তার পরেই আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করেন। পরে আমরা অভিযোগ করি। তাতেও আমাদের চাপ দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বলা হয়।”

শনিবার বিকেলে ফেডারেশনের তরফে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি দীপককে ফুটবল সংক্রান্ত কাজকর্ম থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement