ইউরোপা লিগ নিয়ে সেভিয়া ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
পাঁচ মাস আগে টাইব্রেকারে তাঁর শটেই বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এ বার ক্লাবস্তরে সেভিয়াকে ইউরোপা লিগ জেতালেন গন্সালো মন্তিয়েল। টাইব্রেকার থেকে নেওয়া আর্জেন্টিনীয় ফুটবলারের শটে রোমাকে ৪-১ হারিয়ে সপ্তম বারের জন্য ইউরোপা লিগ জিতল সেভিয়া। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফলাফল ছিল ১-১।
মন্তিয়েল যেমন সেভিয়ার নায়ক, তেমনই বিশ্বকাপে নজরকাড়া আরও এক ফুটবলার শিরোনামে এসেছেন। তিনি মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বুনু, খেলেন সেভিয়ায়। টাইব্রেকারে বুনু দু’টি শট না বাঁচালে সেভিয়ার জেতা মুশকিল ছিল। টাইব্রেকারে জিয়ানলুকা মানচিনি এবং রজার ইবানেজের শট বাঁচান। চতুর্থ শট নিতে গিয়েছিলেন মন্তিয়েল। প্রথম শটে গোল করতে পারেননি। কিন্তু সেটি বাতিল হয় রোমার গোলকিপার রুই প্যাত্রিসিয়ো গোললাইন ছেড়ে এগিয়ে আসায়। পরের শটে গোল করেন মন্তিয়েল।
সেভিয়া আজ পর্যন্ত একটিও ইউরোপা লিগের ফাইনালে হারেনি। অন্য দিকে, বুধবারের আগে কোনও দিন কোনও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার ফাইনালে হারেননি রোমার কোচ হোসে মোরিনহো। তবে বুধবার মোরিনহো নয়, অক্ষুণ্ণ থাকল সেভিয়ার নজির।
স্প্যানিশ লিগে এক সময় অবনমনের আওতায় ছিল সেভিয়া। সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় তারা। পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যায়। এক সময় মনে হচ্ছিল, সেভিয়ার কাছে খুব খারাপ মরসুম যেতে চলেছে। ছেঁটে ফেলা হয় কোচ জর্জ সাম্পাওলিকে। আসেন হোসে লুইজ মেন্দিলিবার। তিনিই মোড় ঘুরিয়ে দেন।
ইউরোপা জিতে মেন্দিলিবার বলেছেন, “সেভিয়ার মতো ক্লাবের কোচিং করাতে পেরে খুশি। খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম আমরা।”