কেকেআরের আচরণের প্রতিবাদ মোহনবাগান ক্লাবের। — ফাইল চিত্র
কেকেআরের সঙ্গে এ বার লেগে গেল মোহনবাগানের। শনিবারের কলকাতা বনাম লখনউ ম্যাচে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মোহনবাগানের জার্সি পরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে কড়া বিবৃতি দিল মোহনবাগান। কেকেআর ম্যানেজমেন্টের আচরণের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে ক্লাবের তরফে।
মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত বিবৃতিতে লিখেছেন, “১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফুটবল বিশ্বকাপের খেলা দেখতে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে গিয়েছি। কোথাও কোনও দিন আমাকে বাধা দেওয়া হয়নি। কোনও ব্যক্তি যে ক্লাবকে ভালবাসে তাদের সমর্থন করা এবং জার্সি পরার অধিকার রয়েছে। সেই পছন্দে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।”
দেবাশিসের সংযোজন, “ভারতের জাতীয় ক্লাবকে অশ্রদ্ধা করার জন্য এবং তাদের সমর্থকদের আবেগে আঘাত করার জন্যে মোহনবাগান ক্লাবের তরফে কেকেআর ম্যানেজমেন্টের আচরণের তীব্র নিন্দা করছি।”
Press Release.#MohunBagan #Mariners #MBAC #MohunBaganAthleticClub #JoyMohunBagan #PressRelease #Press pic.twitter.com/iQfbfH5T3P
— Mohun Bagan (@Mohun_Bagan) May 21, 2023
ঠিক কী হয়েছিল শনিবার?
মোহনবাগানের একটি ফ্যান ক্লাব ময়দান থেকে মিছিল করে ইডেনে গিয়েছিল। সমর্থকদের পরনে ছিল মোহনবাগানের লোগো লাগানো টি-শার্ট ও স্কার্ফ। তাঁদের ইডেনের গেটের বাইরে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফ্যান ক্লাবের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের আটকায়নি। আটকেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষ। কৌস্তভ দেবনাথ নামের এক বাগান সমর্থকের অভিযোগ, তাঁদের কাছে ম্যাচের টিকিট ছিল। তাঁরা লখনউয়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু টি-শার্টে শুধু মোহনবাগানের লোগো থাকায় তাঁদের ঢুকতে দিতে চায়নি কেকেআর ম্যানেজমেন্ট।
মাঠে ঢুকতে না দেওয়ায় ইডেনের ৯ ও ১৩ নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে টি-শার্ট বদল করলে তবেই তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন সেই ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা।
এই ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমেও লিখেছে সেই ফ্যান ক্লাব। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘নিজেদের শহরের দল এ রকম ব্যবহার করবে ভাবিনি। আমরা মিছিল করে ইডেনে গিয়েছিলাম। প্রত্যেকের কাছে টিকিট ছিল। কিন্তু মোহনবাগানের লোগো থাকায় আমাদের আটকে দেওয়া হয়। মোহনবাগানের জার্সি পরে ইডেনে ঢোকা যাবে না, এ রকম কোনও নিয়ম নেই। তার পরেও আমাদের আটকে দেওয়া হয়। টি-শার্ট বদল ছাড়া কোনও বিকল্প আমাদের কাছে ছিল না।’’ যদিও কেকেআর কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।