কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হাবাস। ফাইল ছবি
এটিকে মোহনবাগান কোচের পদ থেকে সরে গেলেন আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। পরপর চারটি ম্যাচে দল জয়হীন। শেষ জয় এসেছে কলকাতা ডার্বিতে। দলের ব্যর্থতার দায়ভার কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করলেন স্প্যানিশ কোচ।
হাবাসের আচমকা পদত্যাগে অবাক হয়েছেন মোহনবাগান ক্লাবের অন্তবর্তীকালীন সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মতে, বড্ড তাড়াহুড়ো করে ফেললেন হাবাস। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “এত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ না করলেই পারত। দল খারাপ খেলছিল মানছি। কিন্তু সেই দলকে টেনে তোলার জন্য ওই হতে পারত আদর্শ ব্যক্তি। ওর ট্র্যাক রেকর্ড যথেষ্ট আকর্ষণীয়। এর আগেও বারবার ব্যর্থতার মুখ থেকে দলকে টেনে তুলেছে। এ বার কেন হাল ছেড়ে দিল বুঝতে পারছি না। গত বছর ওর কোচিংয়েই দল ফাইনালে গিয়েছিল। মরসুমের শুরুটা খারাপ যেতেই পারে। কিন্তু দল এখনও হিসেবের বাইরে চলে যায়নি। ঘুরে দাঁড়ানোর এখনও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।”
গত বছর দুরন্ত ছন্দে ছিল দল। এ বার হুগো বুমোস, লিস্টন কোলাসোর মতো ফুটবলাররা আসায় দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। তা হলে কেন এই ব্যর্থতা। মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার মূলত দু’টি কারণ তুলে ধরেছেন। এক, আত্মবিশ্বাসের অভাব। দুই, ফিটনেসের অভাব।
Thank you for everything, Antonio Habas. We will remain grateful for your immense contributions! 💚♥️#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #AmraSobujMaroon pic.twitter.com/bCFjvPKIaO
— ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) December 18, 2021
সত্যজিৎ বলেছেন, “আমার মনে হয়, কলকাতা ডার্বি জেতার পর ফুটবলাররা একটু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল। ওরা বোধহয় ভেবেছিল আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু একটা-দুটো ম্যাচে হার বা ড্র করার পর থেকেই ওদের আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খেল। সত্যি বলতে, প্রথম দিকে ওদের দেখে মনেই হয়নি কেউ হারাতে পারবে। তা হলে আচমকা কী হল যে এত খারাপ ফল হতে শুরু করল? নিশ্চয়ই ওদের ফিটনেস নিয়ে সমস্যা রয়েছে।”
ব্যর্থতার পিছনে সত্যজিৎ দোষ দিয়েছেন রক্ষণকেও। তাঁর মতে, এরিয়াল বলে অত্যন্ত দুর্বল এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্ডাররা। তাঁর কথায়, “এরিয়াল বল এলেই ওদের মধ্যে একটা দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছি। এমন একজন ফুটবলারকে খুঁজে পেলাম না যে উপর থেকে আসা বল ক্লিয়ার করতে পারে। মুম্বই সিটি এফসি-র ডিফেন্ডার মুর্তাদা ফলকে দেখুন। ওদের বক্সে ভেসে আসা ৯০ শতাংশ বল ও একাই ক্লিয়ার করে দেয়। মোহনবাগানেও তো বিদেশি ডিফেন্ডার রয়েছে। তারা বল ক্লিয়ার করতে পারছে না কেন? বেঙ্গালুরু ম্যাচের শেষ গোলটাই মনে করুন। ওদের ফুটবলার তো সেট পিসে ফাঁকায় গোল করে গেল। শুধু রক্ষণ নয়, কিছু ক্ষেত্রে গোলকিপারকেও এগিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করতে হয়। মোহনবাগানের খেলায় সেটাও দেখতে পাইনি।”
তবে ব্যর্থতা সত্ত্বেও সত্যজিতের মতে, দল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। তবে নতুন কোচের কাছে কাজটা অত্যন্ত কঠিন বলেই তিনি মনে করছেন।