জেমি ম্যাকলারেন। —ফাইল চিত্র।
এক বন্ধু অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ফুটবল খেলেন, অন্য জন খেলেন ক্রিকেট। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের জেমি ম্যাকলারেনের বন্ধু মার্কাস স্টোয়নিস। ভারতে খেলতে আসার আগে স্টোয়নিসের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন ম্যাকলারেন। প্রথম ডার্বির আগেই তাঁর কথা হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে। এ বারও দু’জনের সেই পরামর্শ মাথায় রেখেই নামছেন সবুজ-মেরুন স্ট্রাইকার।
এই মরসুমে ম্যাকলারেন যোগ দেন মোহনবাগানে। তার আগে স্টোয়নিসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ম্যাকলারেন বলেন, “ভারতে আসার আগে স্টোয়নিসের সঙ্গে কথা হয়েছিল। ও বলছিল যে ভারতে খেলাধুলা নিয়ে খুবই আবেগ কাজ করে। সেটা ক্রিকেট হোক বা ফুটবল। তবে আমি সেটা আগেই জানতাম। আর জানতাম বলেই কলকাতার ক্লাবে সই করি। গত ডার্বির আগে আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল জাস্টিন ল্যাঙ্গারের, যা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।”
শেষ বার ডার্বিতে গোল করেছিলেন ম্যাকলারেন। তাঁর এবং পেত্রাতোসের গোলে এ বারের আইএসএলের প্রথম ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। সে বার ম্যাচ ছিল যুবভারতীতে। প্রায় ভর্তি স্টেডিয়ামে খেলেছিলেন ম্যাকলারেন। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা তাঁর। এ বারের ডার্বি গুয়াহাটিতে। গঙ্গাসাগর মেলার কারণে কলকাতায় ডার্বি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ম্যাকলারেন বলেন, “প্রথম ডার্বির পরিবেশ ছিল দুর্দান্ত। আমরা চেয়েছিলাম এ বারেও ওই বিরাট সংখ্যক সমর্থকের সামনে খেলতে। এটা ভারতের তো বটেই, আমার মনে হয় এশিয়ারও সবচেয়ে বড় ডার্বি। জানি না গুয়াহাটিতে কত জন সমর্থক থাকবে। তবে আশা করব মাঠ ভরে লোক থাকবে। এমন ডার্বি খেলতে পারলে বাড়তি উন্মাদনা কাজ করে। আমি মেলবোর্ন ডার্বি খেলেছি। স্কটল্যান্ডেও ডার্বি খেলেছি। কিন্তু আমার মতে সেগুলোর চেয়ে কলকাতা ডার্বি অনেক বড়।”
সমর্থকদের জন্য হতাশ ম্যাকলারেন। তিনি বলেন, “আমরা আজ গুয়াহাটি চলে যাব। সেখানে খেলতে হবে আমাদের। এটা সমর্থকদের জন্য খুবই হতাশার। শুধু আমাদের নয়, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্যও এটা খারাপ। তবে আমরা পেশাদার ফুটবলার। সব রকম পরিস্থিতিতেই খেলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এখন লিগ শীর্ষে থাকা। সেই লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে।”
মোহনবাগানের হয়ে আইএসএলে ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন ম্যাকলারেন। গোল করেছেন ৫টি। ডার্বিতেও গোল আছে তাঁর। কিন্তু নিজের খেলা নিয়ে খুশি নন ম্যাকলারেন। তিনি বলেন, “আমি আরও গোল করতে চাই। আরও গোলের পাস দিতে চাই। কিন্তু দলের দিকে যদি তাকান, তা হলে দেখবেন আমাদের ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার এবং স্ট্রাইকারেরা সকলেই গোল করছে। আমাদের দল কোনও এক জনের উপর নির্ভরশীল নয়। আমি গোল না করলেও দলের অসুবিধা হচ্ছে না। আমি এই দলের একজন সদস্য। অবশ্যই আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে আমার। আমাদের দলও আরও উন্নতি করতে পারে। সব সময় উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আমি পরিশ্রম করছি। আশা করি আগামী দিনে আরও ভাল খেলব।”