Mohun Bagan

বারপুজোর আগের দিনই সুপার কাপ থেকে বিদায় মোহনবাগানের, জামশেদপুরের কাছে তিন গোল হজম

গোটা ম্যাচেই সবুজ-মেরুনকে ছন্নছাড়া দেখিয়েছে। তুলনায় জামশেদপুর অনেক ছন্দবদ্ধ ফুটবল খেলেছে। যোগ্য দল হিসাবেই জিতেছে তারা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৪৩
mohun bagan

জামশেদপুরের কাছে হেরে সুপার কাপে বিদায়ঘণ্টা মোহনবাগানের। ছবি: টুইটার

আইএসএল জয়ের পর প্রথম বার ধাক্কা খেল মোহনবাগান। শুক্রবার সুপার কাপে জামশেদপুর এফসির কাছে ০-৩ গোলে হেরে গেল তারা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সুপার কাপ থেকে ছিটকে গেল তারা। গোটা ম্যাচেই সবুজ-মেরুনকে ছন্নছাড়া দেখিয়েছে। তুলনায় জামশেদপুর অনেক ছন্দবদ্ধ ফুটবল খেলেছে। যোগ্য দল হিসাবেই জিতেছে তারা। শেষ ম্যাচে গোয়ার বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। সেই ম্যাচের আর কোনও গুরুত্ব থাকল না। এ দিন মোহনবাগানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল জামশেদপুর।

শনিবার মোহনবাগানে বারপুজো। চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত গেট উদ্বোধন করতে আসছেন সুনীল গাওস্কর। ক্লাবতাঁবুতে সাজো সাজো রব। তার আগেই আঁধার ঘনিয়ে এল মোহনবাগানে। সুপার কাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।

Advertisement

ম্যাচের শুরুতেই হালকা চোট পেয়েছিলেন জামশেদপুরের ড্যানিয়েল চিমা। তবে প্রাধান্য শুরু থেকেই ছিল পড়শি রাজ্যের দলটির। ৯ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন বঙ্গসন্তান ঋত্বিক দাস। কিন্তু তাঁর প্রয়াস বাঁচিয়ে দেন মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কায়েত। মাঝে মোহনবাগান একের পর এক আক্রমণ করছিল। কিন্তু জামশেদপুর আবার বলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।

২০ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের শুভাশিস বসু একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। তার দূরপাল্লার শট অবশ্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দু’মিনিট পরেই এগিয়ে যায় জামশেদপুর। গোল করেন বরিস। বাঁ দিকে বল পেয়েছিলেন রাফায়েল ক্রিভেলারো। বরিসের উদ্দেশে ক্রস ভাসান। বল অনায়াসে নিয়ে গোল করেন বরিস।

গোল পেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে জামশেদপুর। মোহনবাগানকে তখন দিশেহারা লাগছিল। ২৭ মিনিটের মাথায় অল্পের জন্য একটি সুযোগ নষ্ট করে জামশেদপুর। তিন মিনিট পরেই প্রতীক চৌধুরির হেড বাঁচিয়ে দেন বিশাল। সাফল্য না পেলেও জামশেদপুরের একটানা আক্রমণ করে যাচ্ছিল। সেই আক্রমণের সুফলও পেয়ে যায় তারা।

বিরতির দু’মিনিট আগে দ্বিতীয় গোল করেন বরিস। বাঁ দিক দিয়ে দৌড়ে ঋত্বিক পাস দিয়েছিলেন বরিসকে। সেই পাস কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বাড়ান বরিস।

দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের আক্রমণে একটু ঝাঁজ লক্ষ্য করা যায়। মাঝমাঠে অনেকটা জায়গা জুড়ে খেলতে থাকেন বুমোস। আক্রমণভাগে জুটি বাধার চেষ্টা করছিলেন আশিস রাই এবং দিমিত্রি পেত্রাতোস। কিন্তু গোলের মুখ কিছুতেই খুলছিল না। ম্যাচের শেষ ভাগে আরও একটি গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান। ইশান পন্ডিতার দূর পাল্লার শট বাঁচাতে পারেননি বিশাল। ফিরতি বলে গোল হ্যারি সয়ারের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement