উল্লাস: এতিহাদ স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেই ইপিএল জয়ের উৎসব ম্যান সিটি সমর্থকদের। গেটি ইমেজেস।
চেলসিকে ১-০ হারিয়ে ইপিএল জয়ের উৎসব স্মরণীয় করে রাখল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। এতিহাদ স্টেডিয়ামে একমাত্র গোল ১২ মিনিটে করলেন জুলিয়ান আলভারেজ়। নিজেদের মাঠে আক্ষরিক চাপহীন ম্যান সিটিকে দেখা গেল নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে।
এমনিতে শনিবারই শেষ ছ’বছরে পেপ গুয়ার্দিওলার ক্লাবের পঞ্চম লিগ খেতাব নিশ্চিত হয়ে যায় আর্সেনাল নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে হেরে যাওয়ায়। ঘটনাচক্রে সেই ম্যাচ দেখতে একসঙ্গে বসেছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফুটবলাররা। ০-১ গোলে গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা হারতেই নিশ্চিত হয়ে যায় তিন ম্যাচ বাকি থাকতে ইপিএলে ম্যান সিটির জয়ের হ্যাটট্রিক। এবং ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠেন আর্লিং হালান্ডরা।
আক্ষরিক অর্থেই এ বার অপ্রতিরোধ্য মেজাজে খেলছেন আর্লিং হালান্ডরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে তাঁরা রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবকে ৪-০ হারিয়ে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেন। আপাতত প্রতীক্ষা একটাই। ইস্তনাবুলে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে পেপের ফুটবলারেরা ইন্টার মিলানকে হারিয়ে ইউরোপ সেরা হতে পারেন কি না দেখা।
গুয়ার্দিওলা এতিহাদের ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়া ইস্তক কার্যত সব ট্রফি জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কখনও জেতেননি। একবার ফাইনালে উঠেও তারা হেরে যায় চেলসির কাছে। রবিবার এতিহাদে হালান্ড-সহ রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের ন’জনকে প্রথম দলে রাখেননি ম্যান সিটি ম্যানেজার। তা হলেও ১২ মিনিটেই ১-০ করে ফেলে তারা। এবং তখন থেকেই ট্রফি হাতে নেওয়ার অনুষ্ঠানের জন্য অধীর হয়ে ওঠেন ম্যান সিটির সমর্থকেরা। আর খেলা শেষ হতেই হাজার হাজার মানুষ নেমে পড়েন মাঠে।
ম্যান সিটি জিতলেও ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চেলসি কিন্তু এই দ্বৈরথে বেশ কয়েক বার গোল করার মতো অবস্থায় পৌঁছেও শেষ কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেনি। এমনিতে চেলসি কিন্তু সব রকম ভাবে চ্যাম্পিয়ন দলকে সম্মান জানিয়েছে। শনিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ল্যাম্পার্ড বলেছিলেন, ‘‘ম্যান সিটিই বিশ্ব সেরা ক্লাব। ওরা স্বপ্নের ফুটবল খেলছে। ইপিএলের সব ক্লাবের পেপের ফুটবলারদের পারফরম্যান্স দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত।’’ তার উপর রবিবার চেলসির গার্ড অব অনার নিয়ে মাঠে নামেন ম্যান সিটির ফুটবলাররা।
আপাতত ম্যান সিটির সামনে সুযোগ ত্রিমুকুট জয়েরও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ছাড়াও তাদের সামনে সুযোগ এফএ কাপ জেতার। ইংল্যান্ডের সুপ্রাচীন এই প্রতিযোগিতাতেও হালান্ডরা ফাইনালে উঠেছেন। এ দিকে, ইপিএলে অসাধাররণ শুরু করেও শেষরক্ষা করতে পারেনি আর্সেনাল। সে কথা অকপটে স্বীকার করে ম্যান সিটি ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার বলেছেন, ‘‘শেষ দিকে গানার্স বেশ কয়েক ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট না করলে আমরা হয়তো চ্যাম্পিয়নই হতে পারতাম না।’’ ওয়াকার আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের ফুটবলাররাও গত কয়েক বছর ধরে সাফল্য এনে দিচ্ছে। কারণ, এই দলের মান সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই ওয়াকিবহাল। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে আমরা অনেক কিছুই অর্জন করতে সফল হয়েছি। অধিনায়ক ও ম্যানেজার অনুপ্রাণিত করলেও আমরা সকলেই নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। সাফল্যের শিখরে ওঠা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়, এই মানসিকতা নিয়েই মরসুম শুরু করেছিলাম।’’