দেশে বর্ষশেষের আগে একটি বিরাট পার্টি দিয়েছেন মেসি। সেখানে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য থেকে হাজির ছিলেন আরও অনেকেই। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে দেশেই রয়েছেন লিয়োনেল মেসি। রোসারিয়োয় নিজের জন্মের শহরে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করছেন। এখন প্যারিসে নিজের ক্লাবে ফেরেননি। এর মাঝেই জানা গিয়েছে, দেশে বর্ষশেষের আগে একটি বিরাট পার্টি দিয়েছেন মেসি। সেখানে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য থেকে হাজির ছিলেন আরও অনেকেই। মেসির গোটা পরিবারও সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিল। মেসির পার্টি ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ছিল রোসারিয়োয়।
গত ২০ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন মেসি। দু’দিন পরেই রোসারিয়োয় চলে যান। বড়দিন কাটান পরিবার এবং তিন সন্তানের সঙ্গেই। ছিলেন লুই সুয়ারেস, আন্দ্রে ইনিয়েস্তার মতো কিছু বন্ধুও। তবে প্যারিসে ফেরার আগেই সময়টা আরও ভাল করে উপভোগ করতে চেয়েছিলেন মেসি। সেই কারণেই পার্টির আয়োজন।
Lionel Messi’s arrival to the City Center in Rosario where he has organised a big party tonight
— GOLAZO (@golazoargentino) December 30, 2022
pic.twitter.com/MGrhPRvXnw
The champions cake at Lionel Messi's World Cup party. pic.twitter.com/YxbiYJnkOZ
— Roy Nemer (@RoyNemer) December 30, 2022
Lionel Messi at his World Cup party with his wife and parents! pic.twitter.com/XWl74fX45Q
— Mundo Albiceleste ⭐🌟⭐ (@MundoAlbicelest) December 30, 2022
সান্টা ফে-র রোসারিয়ো সিটি সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘চ্যাম্পিয়নদের উৎসব’। কাতার থেকে ফেরার পর সেখানেই রয়েছেন মেসি। মেসির দাতীয় দলের সতীর্থ অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া এবং লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। মেসি একটি জার্মান সংস্থার বিলাসবহুল গাড়ি চড়ে আসেন। সেই ছবি রয়েছে সমাজমাধ্যমে। সাদা রংয়ের টি-শার্ট পরেছিলেন তিনি। স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজোকে দেখা গিয়েছে রুপোলি রংয়ের একটি পোশাকে। তিন সন্তান থিয়াগো, মাতেয়ো এবং সিরোও একই গাড়িতে ছিল।
এ ছাড়া মেসির মা সেলিয়া কুচ্চিতিনি, দুই ভাই রদ্রিগো এবং মারিয়া সোল সেই পার্টিতে ছিলেন। আর্জেন্টিনায় মেসির প্রাক্তন সতীর্থ ম্যাক্সি রদ্রিগেসকে দেখা যায়। পার্টিতে গানবাজনা করে ‘লা মস্কা’ ব্যান্ড। বিশ্বকাপের সময় ‘মুচাচোস’ গানটি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল আর্জেন্টিনার সাজঘরে। সেই গানটি নতুন করে গেয়েছে লা মস্কা ব্যান্ডটিই। পার্টি আড়েবহরে এতটাই বড় ছিল যে পুলিশকে বিশাল নিরাপত্তার আয়োজন করতে হয়। তবু প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন সিটি সেন্টারের বাইরে। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয় কড়া হাতে।