এই দৃশ্য আর হয়তো দেখা যাবে না। ছবি: এক্স।
আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস কোচ হয়ে আসার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল হুগো বুমোসকে ঘিরে। কলকাতা ডার্বিতে হাবাস তাঁকে না খেলানোর পরে জল্পনা আরও বাড়ে। সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, মোহনবাগানের জার্সি গায়ে বুমোস শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তাঁকে হয়তো আর সবুজ-মেরুন জার্সিতে দেখা যাবে না। শনিবার বিকেল ৫.৩৮ মিনিটে মোহনবাগানের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, বুমোসের বদলে কাউকোকে মোহনবাগানের দলে নেওয়া হয়েছে।
আইএসএলে মোহনবাগানের নথিভুক্ত করা ফুটবলারদের যে তালিকা রয়েছে সেখান থেকে বুমোসকে বাদ দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে সকালেই। সেই জায়গায় নেওয়া হয়েছে জনি কাউকোকে। কলকাতা ডার্বিতেও ১৮ জনের দলে ছিলেন না বুমোস। ভিভিআইপি বক্সে বসে একা একাই খেলা দেখেছিলেন। এই ঘোষণার ফলে, শনিবার ঘরের মাঠে হায়দরাবাদ ম্যাচেও তাঁকে ১৮ জনের দলে থাকবেন না তিনি।
হাবাস কোচ হয়ে আসার পরেই কাউকোকে নিয়ে আসা হয়েছিল ফিনল্যান্ড থেকে। গত মরসুমে চোট পেয়ে তিনি দেশে ফিরে গেলেও চুক্তি বাতিল হয়নি। হাবাসের সঙ্গে তাঁর সমীকরণও ভাল। মাঝমাঠ শক্তিশালী করতে সে কারণেই তাঁকে আইএসএলে নথিভুক্ত করানো হয়েছে বলে খবর মিলেছে। তবে আইএসএলের তালিকা থেকে বুমোসকে ছেঁটে ফেললেও মোহনবাগান এখনই তাঁকে বিক্রি করতে অসুবিধা রয়েছে। কারণ বুমোসের সঙ্গে লম্বা চুক্তি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মরক্কোর ফুটবলার ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন এবং আইনত তা দিতে হবে মোহনবাগানকে। ফলে এ ক্ষেত্রে বুমোসকে অন্য ক্লাবে লোনে পাঠানো যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই মরসুমের শুরু থেকে বুমোসের বাগান ছাড়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল। সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তাঁর ঠিক মতো বনিবনা হচ্ছিল না বলেই সূত্রের খবর। তার পরেই চলতি মরসুমে বুমোসকে দলে রেখেছিল মোহনবাগান। বেশির ভাগ ম্যাচেই তাঁকে খেলিয়েছেন মোহনবাগানের আগের কোচ জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু বুমোস যে মানের ফুটবলার তার ধারেকাছেও দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। কখনও কখনও দলের বোঝা হয়ে উঠছিলেন। বুমোসকে সামনে রেখেই মাঝমাঠ তৈরি করেছিল মোহনবাগান। কিন্তু তিনি ভাল খেলতে না পারায় সব পরিকল্পনা নষ্ট হচ্ছিল মোহনবাগানের।
সুপার কাপের ডার্বিতে মোহনবাগানের হারের নেপথ্যে বড় কারণ ছিলেন বুমোস। বাগান পেনাল্টি পাওয়ার পরে গোল করেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। কিন্তু তিনি শট নেওয়ার আগে বুমোস বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ায় দ্বিতীয় বার পেনাল্টি নিতে হয় পেত্রাতোসকে। পোস্টে মারেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল করে ডার্বি জেতে ইস্টবেঙ্গল।
আইএসএলের ডার্বি থেকে বাদ পড়ার পরে শোনা যায়, বুমোসকে যেখানে কোচ হাবাস খেলাতে চাইছেন সেখানে ফরাসি ফুটবলার খেলতে রাজি হচ্ছেন না। পাশাপাশি সুপার কাপে বুমোসের খেলা নিয়ে হাবাস প্রশ্ন করায় খুশি হননি তিনি। সে কারণেই দু’জনের মধ্যে সামান্য ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। সেই দূরত্ব যে এ বার ফাটলে পরিণত হয়েছে, তা সাম্প্রতিক খবরেই বোঝা যাচ্ছে।