— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে খারাপ পিচের কারণে আম্পায়ারেরা মাঝপথেই ম্যাচ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একই দিনে বিশ্বের অন্য প্রান্তে স্পেনে আচমকাই ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হল। তবে দু’টি খেলা থামানোর কারণ সম্পূর্ণ আলাদা। ফুটবল ম্যাচটি থামাতে হয়েছে দর্শকাসনে এক সমর্থক মারা যাওয়ায়।
নুয়েভো লস কার্মেনেস স্টেডিয়ামে গ্রানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের। ১৮ মিনিটেই সেই ম্যাচ বন্ধ করে দেন রেফারি। তখন ১-০ গোলে জিতছিল অ্যাথলেটিক। এমন সময় তাদের গোলকিপার উনাই সিমন দৌড়ে গিয়ে রেফারির কাছে কিছু একটা বলেন। রেফারি ফুটবলারদের খেলা থামানোর নির্দেশ দেন। ২০ মিনিটের মাথায় দু’দলের ফুটবলারেরাই মাঠ ছেড়ে সাজঘরে ফিরে যান।
এর পরে স্টেডিয়ামের স্পিকারে সমর্থকদের জানানো হয়, ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা যেন স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যান। ক্লাবের পুরনো এক সমর্থকের মৃত্যুর খবর তখনই ঘোষণা করা হয়। গ্রানাডা পরে এক বিবৃতিতে সে কথা ঘোষণা করে। রেফারিকে অনুরোধ করে ম্যাচ থামানোর জন্য অ্যাথলেটিকের গোলকিপার সিমনকে হাততালি দিয়ে ধন্যবাদ জানান সমর্থকেরা। লা লিগার তরফে জানানো হয়েছে, ম্যাচের পরবর্তী দিন এবং সময় পরে ঘোষণা করা হবে।
রবিবার বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন রেনেগেডস বনাম পার্থ স্কর্চার্স ম্যাচে সপ্তম ওভারেই ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় খলনায়ক আয়োজকেরা। আম্পায়ারেরা সিদ্ধান্ত নেন, এই পিচ খেলার পক্ষে উপযুক্ত নয়। পিচের একটি স্যাঁতসেঁতে এলাকা নিয়ে সমস্যা বাধে। সেখানে বল পড়লেই আচমকা লাফিয়ে উঠছিল। তাতেই সমস্যায় পড়েন ব্যাটারেরা। কেউ সেই বল খেলতেই পারছিলেন না। মাঠে বেশ কিছু ক্ষতস্থান তৈরি হয়েছিল। সেটিও সমস্যায় ফেলছিল। গিলং স্টেডিয়ামে ছিল এই ম্যাচটি। আগের দিন রাতেই বৃষ্টি হওয়ায় পিচের একটি অংশ স্যাঁতসেঁতে থেকে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পিচের উপরে কভার দেওয়া থাকলেও ফাঁকফোকর দিয়ে জল ঢুকে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়।