গোল করে উচ্ছ্বাস সালাহ। ছবি রয়টার্স।
লিভারপুলের জার্সিতে তিনি পেলেন দুশোতম গোল। তার সঙ্গেই মুখে হাসি ফেরালেন ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপেরও। শনিবার পিছিয়ে থেকে ক্রিস্টার প্যালেসের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জিতল লিভারপুল।
কিন্তু আবারও ছন্দ হারাল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এরিক টেন হ্যাগের দলের বিরুদ্ধে তিন গোল করে গেল বোর্নমুথ। ম্যাচের পাঁচ মিনিটে প্রথম গোল ডমিনিক সোলাঙ্কের। পরে ৬৮ মিনিটে ফিলিপ বিলিং এবং ৭৩ মিনিটে মার্কোস সেনেসি ব্যবধান বাড়িয়ে যান। ম্যাচের পরে হতশ টেন হ্যাগ বলেছেন, ‘‘এই হারের ব্যাখ্যা নেই। আমরা কোনও সময়েই পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলতেই পারিনি।
প্রথমার্ধের ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পরে পেনাল্টি থেকে গোল করে ক্রিস্টাল প্যালেসকে এগিয়ে দেন জঁ ফিলিপ মাতেতা। সেই জায়গা থেকে লিভারপুলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন মহম্মদ সালাহ। ৭৬ মিনিটে তিনি গোল করেন। তার এক মিনিট আগেই লাল কার্ড (জোড়া হলুদ কার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন প্যালেসের জর্ডান আইয়েউ। কিন্তু দশজনের প্যালেসকে হারাতে সংযুক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় লিভারপুলকে। হার্ভে এলিয়টের গোলে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয় ক্লপের দলের।
ম্যাচের পরে সালাহ বলে যান, ‘‘এই ক্লাবের হয়ে দুশো গোল করা নিঃসন্দেহে খুবই গর্বের। তবে তার চেয়েও বেশি মূল্যবান তিন পয়েন্ট। আমার কীর্তির সঙ্গে দলের এই জয়টা সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘গত মরসুমে আমরা ভক্তদের কোনও সাফল্যই দিতে পারিনি। ফলে এ বার আমাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করে লিগ নিশ্চিত করতে হবে।’’
যাঁর গোলে শনিবার তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে লিভারপুল, সেই ২০ বছরের নতুন তারা হার্ভে এলিয়ট বলেছেন, ‘‘যে কোনও ম্যাচেই গোল করা খুব আনন্দের। কিন্তু ক্রিস্টাল প্যালেসের ঘরের মাঠ সেলহার্স্ট পার্কে এসে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার আলাদা একটা তৃপ্তি রয়েছে।’’ ম্যানেজার ক্লপ বলেছেন, ‘‘তিন পয়েন্ট আমাদের কাছে খুব প্রয়োজনীয় ছিল। শুরুতে আমরা মোটেও ভাল খেলতে পারিনি। মানতেই হবে প্যালেস দশজন হয়ে যাওয়ার পরে আমরা খেলায় ফিরেছি। হার্ভে ঠান্ডা মাথায় গোলটা করে চাপ কাটিয়ে দিয়েছে।’’