কিলিয়ান এমবাপে। —ফাইল চিত্র।
ইউরো কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই নাক ভেঙেছে কিলিয়ান এমবাপের। তাঁর চোট বেশ গুরুতর। মাঠেই রক্তে ভেসে যায় মুখ। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ জানিয়েছেন যে, ইউরো কাপের পর অস্ত্রোপচার হবে এমবাপের। মনে করা হচ্ছে, তাঁকে খেলানোর একটা মরিয়া চেষ্টা করছে ফ্রান্স। সেই কারণেই প্রতিযোগিতা চলাকালীন ছুরি-কাঁচি না চালানোর কথাই ভাবা হচ্ছে।
অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জেতে ফ্রান্স। সেই ম্যাচে অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার কেভিন ডান্সোর সঙ্গে সংঘর্ষে নাক ভাঙে এমবাপের। দেশঁ বলেন, “এখনই যদি অস্ত্রোপচার না-ও করানো হয়, তা হলে প্রতিযোগিতা শেষ হলে করাতেই হবে। বুধবার এমবাপের আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে। আগের থেকে কিছুটা ভাল আছেন তিনি। প্রতি দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন।”
দুর্ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এমবাপেকে। পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে যে, এখনই অস্ত্রোপচার না করালেও চলবে। পরের ম্যাচে এমবাপে খেলতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। কবে আবার তিনি মাঠে ফিরবেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এমবাপে ফ্রান্সের অধিনায়ক। তিনি খেলতে না পারলে দল যে কিছুটা শক্তি হারাবে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ফরাসি কোচ। শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে ফ্রান্সের। সেই ম্যাচে যদিও বা এমবাপে খেলেন, তাঁকে মুখোশ পরে খেলতে হতে পারে। ফরাসি অধিনায়কের একটি পোস্টের পর এমন জল্পনাও তৈরি হয়েছে।
গ্রুপে ফ্রান্সের তৃতীয় ম্যাচ পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২৫ জুন হবে সেই ম্যাচ। বিশ্বকাপ জিতলেও ইউরো কাপ জেতা হয়নি এমবাপের। এ বারে সেই কাজটাই করতে চাইবেন তিনি। কিন্তু নাকের হাড় ভেঙে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যায় এমবাপে।