এমন ছবি দেখা যাবে না কাতারে। ফাইল ছবি।
হোক না বিশ্বকাপ ফুটবল। দেশের আইন-কানুন শিথিল করতে রাজি নয় কাতার সরকার। বিশ্বকাপের সময় স্টেডিয়ামে মদ্যপান করলেই কড়া সাজা ভুগতে হতে পারে।
কাতারে নিষিদ্ধ মদ। সেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিশ্বকাপ ফুটবলও। খেলা শুরুর আগে এবং শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামের বাইরে বিয়ার বিক্রি করা যাবে। কিন্তু মদ নৈব নৈব চ। বিয়ার বিক্রিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু ম্যাচে। তাও বিশ্বকাপের এক স্পনসরের চাপে বাধ্য হয়ে।
বিশ্বকাপ আয়োজকদের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনও পর্যন্ত আলোচনায় ঠিক হয়েছে, ফুটবল সমর্থকরা স্টেডিয়ামে ঢোকার আগে বিয়ার পান করতে পারবেন। আবার ম্যাচ শেষ হলে স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে বিয়ার পান করতে পারবেন। ম্যাচ চলার সময় বিয়ার পান করা যাবে না। বিয়ার নিয়ে স্টেডিয়ামের ভিতরেও প্রবেশ করা যাবে না।’’
বিশ্বকাপ দেখতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১২ লক্ষ ফুটবলপ্রেমী আসবেন বলে অনুমান করছেন আয়োজকরা। তাঁদের একটা বড় অংশই বিয়ার পান করতে করতে খেলা দেখতে পছন্দ করেন। তাঁদের সামলানোই সব থেকে বড় চিন্তা কাতারের। উল্লেখ্য, ২০১৪ বিশ্বকাপে ফিফার চাপে স্টেডিয়ামের ভিতর মদ্যপানের অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিল আয়োজক দেশ ব্রাজিল।
সৌদি আরবের মতো কাতারে মদ নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু প্রকাশ্যে মদ্যপান কাতারে বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দোহার ফিফা ফ্যান জোনে দিনের নির্দিষ্ট সময় বিদেশি ফুটবলপ্রেমীদের জন্য বিক্রি করা হবে বিয়ার। অন্য বিশ্বকাপগুলির মতো সারা দিন বিয়ার পাওয়া যাবে না ফ্যান জোনে। মূল স্টেডিয়াম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে দোহা গল্ফ ক্লাবে পাওয়া যাবে মদ। প্রতি দিন ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ মদ কিনতে পারবেন। সেখানে বসেই মদ খেতে হবে। মদ নিয়ে বাইরে যাওয়া যাবে না। শহরের উপকণ্ঠে তিন মিটার উঁচু পাঁচিল ঘেরা আরও একটি জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেখানে ১০ হাজার ফুটবল প্রেমীর মদ্যপানের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়াও সাধারণ ভাবে কাতারের যে সব হোটেল এবং পানশালায় মদ বিক্রি হয়, সেগুলিতেও মদ বিক্রি হবে বিশ্বকাপের সময়।
মদ নিয়ে কাতারের প্রবেশ করতে পারবেন না ফুটবল সমর্থকরা। বিমানবন্দরের শুল্কহীন দোকান থেকেও মদ কিনতে পারবেন না বিশ্বকাপ দেখতে আসা বিদেশিরা। দোহার বাইরে একমাত্র মদের দোকানটি থেকেও কিনতে পারবেন না ফুটবলপ্রেমীরা। উল্লেখ্য, বিশেষ অনুমতি পত্র থাকলে তবেই ওই দোকান থেকে মদ কিনতে পারেন শুধুমাত্র কাতারে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা। তাঁদের সেই মদ পান করতে হয় বাড়ির ভিতর। উল্লেখ্য, কাতারে এক পিন্ট বিয়ারের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৪০০ টাকার বেশি।