মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবলারেরা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
চলতি আইএসএলে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলছে মহমেডান স্পোর্টিং। শেষ পাঁচটি ম্যাচ হেরেছে তারা। পয়েন্ট তালিকার একেবারে শেষে সাদা-কালো ব্রিগেড। তার মাঝেই কিছু ফুটবলার অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বেতন বকেয়া রয়েছে। সেই অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছে ক্লাব। তার সঙ্গে দলের পারফরম্যান্সের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি তাদের।
মঙ্গলবার মহমেডান জানিয়েছে, ১০ অগস্ট থেকে ২০ অগস্টের মধ্যে ফুটবলারদের প্রাক্-মরসুম অনুশীলনে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। ফুটবলারদের দলে যোগ দেওয়ার দিন অনুযায়ী তাঁদের বেতন প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছিল। প্রথম তিন মাস, অর্থাৎ, চলতি বছর নভেম্বর মাস পর্যন্ত বেশির ভাগ ফুটবলারের বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েক জনের বেতন বকেয়া রয়েছে। তবে তার কিছু কারণ রয়েছে। চুক্তির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কারণে তাঁদের বেতন মেটানো যায়নি। তবে সেই কথা সংশ্লিষ্ট ফুটবলারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তাঁদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে।
মহমেডান আরও জানিয়েছে, কোনও ফুটবলারের বেতন বকেয়া থাকবে না। ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত সমস্ত বেতন নির্দিষ্ট সময়ে মিটিয়ে দেওয়া হবে। আগের মরসুমে ক্লাবে যে ফুটবলারেরা খেলেছেন তাঁদের কারও বেতন বকেয়া নেই বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে ক্লাব।
ময়দানে গুজব ছড়াচ্ছিল, বেতন বকেয়া থাকার কারণেই ফুটবলারেরা মন দিয়ে খেলছেন না। তার ফলেই দল হারছে। সেই গুজব অসত্য বলেই দাবি করেছেন মহমেডানের কার্যনির্বাহী সভাপতি কামারুদ্দিন। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “কিছু লোক গুজব ছড়াচ্ছে। সমাজমাধ্যমে লেখালেখি করছে। কোনও ফুটবলারের বেতন নিয়ে সমস্যা নেই।” তা হলে দল কেন হারছে? কামারুদ্দিনের জবাব, “দল তৈরি করেছিল বাঙ্কারহিল। শ্রাচী স্পোর্টস পরে এসেছে। ওদের টাকা দিতে হচ্ছে। বেশির ভাগ নতুন ফুটবলার। ফলে আমরা ভাল দল গড়তে পারিনি। সামনেই ট্রান্সফার উইন্ডো আছে। সেখানে কিছু ফুটবলার নেওয়ার চেষ্টা করব। ফুটবলারেরা ভাল খেলতে পারছে না বলে দল হারছে। এর সঙ্গে বেতনের কোনও সম্পর্ক নেই।”
কয়েক দিন আগে বেতন বকেয়া থাকার অভিযোগ করেছিলেন মহমেডানের ফরাসি ডিফেন্ডার ফ্লোরেন্ট ওগিয়ের ও ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড কার্লোস ফ্রাঙ্কা। ফ্লোরেন্টের অভিযোগ, তাঁর দু’মাসের বেতন বকেয়া। এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে তিনি ফিফায় অভিযোগ জানানোর কথা ভাবছেন। ফ্রাঙ্কার দাবি, তাঁর তিন মাসের বেতন বকেয়া। দলবদল শুরু হলে তিনি মহমেডান ছাড়তে চান বলেও জানিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কা। আরও কয়েক জন ফুটবলার সেই একই অভিযোগ করেছিলেন। সেই দাবি সরাসরি খারিজ করে দিল মহমেডান।