নেমারদের কোচের পদ থেকে সরলেন তিতে। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতেই ব্রাজিল কোচের পদ ছাড়লেন তিতে। শুক্রবার ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তিনি। ছ’বছর ব্রাজিল কোচের পদে থাকার পর দায়িত্ব থেকে সরে গেলেন তিতে। তাঁর অধীনে ২০১৮ এবং ২০২২— দু’বারই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল।
ম্যাচের পর তিতে বলেন, “এই হার মেনে নেওয়া যন্ত্রণার। আমি এ বার একটু শান্তিতে থাকতে চাই। আমাকে যত টুকু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হয়েছে। দেড় বছর আগেই বলেছিলাম বিশ্বকাপের ফল যা-ই হোক, আমি আর দায়িত্বে থাকব না। দু’রকম কথা আমি বলি না। কোনও রকম নাটক করে পদে থাকার ইচ্ছেও আমার নেই। যাঁরা আমাকে চেনে, তাঁরা জানে আমি এক কথার মানুষ।”
২০১৪-র বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কোচ ছিলেন দুঙ্গা। তাঁর অধীনে একের পর এক ম্যাচে ব্রাজিল খারাপ খেলতে থাকায় চাকরি যায় তাঁর। আনা হয় ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবল সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকা তিতেকে। তিনি এ দিন আরও বলেছেন, “একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার সাহায্যে এগোচ্ছিলাম আমরা। আগের বিশ্বকাপে গোটা দলকে একসূত্র গাঁথাই আমার কাছে আসল কাজ ছিল। এখন দলটা একটা ছন্দে বেঁধে গিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক যে এই বিশ্বকাপেও আমরা সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে অপারগ।”
তিতের অধীনে ব্রাজিল খেলেছে ৮১টি ম্যাচ। জিতেছে ৬০টি। ১৫টি ম্যাচ ড্র। হারতে হয়েছে মাত্র ৬টি ম্যাচে। ব্রাজিল দিয়েছে ১৭৪টি গোল। খেয়েছে ৩০টি।
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কী রেখে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্নের জবাবে তিতে বলেছেন, “সময়ই এর উত্তর দেবে। এখন যে যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছি, সেটা বোঝানো খুবই কঠিন। আমিও মানুষ। আবেগ আমারও রয়েছে। আগে কী কাজ করেছি, সেটা এখন বোঝানোর মতো ক্ষমতা আমার নেই। আশা করি আগামী দিনে আপনারাই সেটা বুঝতে পারবেন। আমার সেই ক্ষমতা নেই।”
তিতে মানতে চাননি যে রক্ষণের ভুলে ব্রাজিলকে গোল খেতে হয়েছে। বলেছেন, “আমরা প্রথম থেকেই আক্রমণ করছিলাম। এক বারই আমাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে বল বেরিয়ে গেল। দানিলো আটকাতে পারল না। ফ্রেডও বুঝতে পারেনি। তা সত্ত্বেও আমরা পিছিয়ে এসে গোল আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম। শেষ মুহূর্তে আমাদেরই এক জন ফুটবলারের গায়ে লেগে বলটা গোলে ঢুকে গেল।”
হারের জন্য নির্দিষ্ট করে কাউকে দায়ী করতে চাননি তিতে। বলেছেন, “গোটা দলই হেরেছে। আগের ম্যাচে আমরা প্রথমার্ধে ভাল খেলেছিলাম। এই ম্যাচেও আক্রমণের ধারা বজায় রেখেছি। তবে ওদের গোলকিপার বিশ্বের সেরা। আমরা নিখুঁত হতে পারিনি।”